প্রত্যুত্তরের হুমকি ইমরানের। ফাইল চিত্র।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের কনভয়ের উপর আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল পাক মদতে পুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে একের পর এক পদক্ষেপ করছিল ভারত। কিন্তু, পুরো ঘটনা নিয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন নিশ্চুপ। নাশকতার পাঁচ দিন পর অবশ্য মুখ খুললেন তিনি, আর বললেন, ‘‘পুলওয়ামা কাণ্ডের পর ভারত যদি আক্রমণ করে, তা হলে পাকিস্তান শুধু পাল্টা আক্রমণ করার কথা ভাববে না, প্রতি আক্রমণ করবে। কারণ, এ ছাড়া পাকিস্তানের কাছে আর কোনও রাস্তা খোলা থাকবে না।’’
একই সঙ্গে ইমরানের অভিযোগ, কোনও তথ্য প্রমাণ ছাড়াই ইসলামাবাদের উপর পুলওয়ামা হামলার দায় চাপাচ্ছে নয়াদিল্লি। শনিবারই উত্তেজনা এড়াতে রাষ্ট্রপুঞ্জের কাছে অবিলম্বে মধ্যস্থতা করার আবেদন করেছিল পাকিস্তান। একই সঙ্গে সেই চিঠিতে কাশ্মীর নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপও দাবি করেছিল ইসলামাবাদ। যদিও তার ঠিক পরের দিনই খোদ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী দিলেন পাল্টা আক্রমণের হুঁশিয়ারি।
একই সঙ্গে টেলিভিশনে বক্তব্য রাখার সময় ইমরানের মন্তব্য, ‘‘পাকিস্তান পাল্টা আক্রমণ করবে না, এই কথা ভুলেও ভাববেন না। ভারত আক্রমণ করলে আমরা পাল্টা দেব। যুদ্ধ শুরু করা সহজ এবং মানুষ বিভিন্ন সময় তা করেছে। কিন্তু, যুদ্ধের শেষ কী ভাবে হয় তা এক মাত্র ভগবানের হাতেই আছে।’’
আরও পড়ুন: পুলওয়ামায় ব্যবহার হয়েছিল ‘মিলিটারি গ্রেড’ আরডিএক্স, আরও স্পষ্ট পাক সংযোগ
পুলওয়ামা কাণ্ডের সঙ্গেও পাকিস্তানি যোগসূত্রের কথা অস্বীকার করে ইমরান বলেন, ‘‘ আমাদের উপর দায় চাপাবেন না। আমি স্থায়িত্বের দিকে এগোচ্ছি। এই ধরণের নাশকতা করে আমাদের কোনও লাভ নেই। ভারত যদি আমাদের যুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে বেঁচে থাকতে চায়, তা হলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের দেশ থেকে কেউ বাইরে গিয়ে সন্ত্রাস চালাবে, সেই ধরনের কাজে আমাদের কোনও উৎসাহ নেই। আবার বাইরে থেকে এসেও কেউ আমাদের এখানে সন্ত্রাস চালাবে, সেটাও আমরা বরদাস্ত করব না।’’
আরও পড়ুন: ‘ভারত আক্রমণ করতে পারে, আপনারা থামান’, রাষ্ট্রপুঞ্জে চিঠি পাক বিদেশমন্ত্রীর
একই সঙ্গে পুলওয়ামা কাণ্ড নিয়ে ইমরানের অভিযোগ, ভারত একই সঙ্গে বিচারক, আইনজীবী এবং শাস্তিদাতার ভূমিকা নিচ্ছে, যা কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় পাকিস্তানের পক্ষে।