টিকা-নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। ছবি: রয়টার্স।
অতিমারি নিয়ন্ত্রণে টিকাকরণ বাধ্যতামূলক বলে ঘোষণা করেছে নিউজ়িল্যান্ড সরকার। লকডাউনের কড়াকড়ি আর এই বাধ্যতামূলক টিকা-নীতির বিরুদ্ধে আজ পার্লামেন্টের সামনে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার মানুষ।
নিরাপত্তার খাতিরে দু’টি ছাড়া পার্লামেন্টের সমস্ত প্রবেশদ্বার বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক ছিল না। ওয়েলিংটনে শান্তিপূর্ণ মিছিলও করেন তাঁরা। অনেকের হাতে ছিল পোস্টার। তার কোনওটায় লেখা ‘স্বাধীনতা’, কোনওটায় লেখা রয়েছে, ‘কিউয়িরা পরীক্ষাগারের গিনিপিগ নয়।’ মিছিলে শামিল এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমি টিকা নেব কি না, তা আমার ব্যক্তিগত স্বাধীনতার বিষয়। এ নিয়ে জোর করতে পারে না সরকার।’’
গত বছর করোনা পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকলেও ডেল্টা স্ট্রেনের কারণে সম্প্রতি নিউজ়িল্যান্ডে সংক্রমণ বেশ বেড়েছে। মোট জনসংখ্যার ৮০ শতাংশের টিকাকরণ সম্পূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও আজ ১২৫টি নতুন সংক্রমণ ধরা পড়েছে। অতিমারিকে কাবু করতে তাই লকডাউনের পরিবর্তে টিকাকরণেই ভরসা রেখেছে জেসিন্ডা আর্ডের্নের সরকার। গত মাসে প্রধানমন্ত্রী আর্ডের্ন ঘোষণা করেন, শিক্ষক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে কাজে যোগ দিতে হবে। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধেই আজ প্রতিবাদ জানান বিক্ষোভকারীরা। এই প্রসঙ্গে আজ সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘বিক্ষোভকারীরা সংখ্যায় সামান্য। তাঁরা সমস্ত নিউজ়িল্যান্ডবাসীর প্রতিনিধি নন।’’
অতিমারির এই দুই বছরে বহু দেশে মানুষের গড় আয়ু অনেকটাই কমে গিয়েছে। সম্প্রতি বিএমজে জার্নালে এই দাবি করেন অক্সফোর্ডের এক গবেষক। নজরুল ইসলাম নামে
ওই চিকিৎসা-পরিসংখ্যানবিদের কথায়, ২০২০ থেকে ৩১টি দেশে মানুষের আয়ু কমেছে। নিউজ়িল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো খুব কম দেশেই মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।
সংবাদ সংস্থা