ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ
দেশকে বাঁচাতে অতি দক্ষিণ শক্তিকে ঠেকান! ফ্রান্সের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের মুখে দেশবাসীর উদ্দেশে সোমবার শোনা গেল এমনই আর্জি।
আর দেড় মাসের মধ্যেই দেশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। লড়াইয়ে ক্রমশ এগিয়ে আসছেন অতি দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট-এর নেত্রী মারিন লো পঁ। সেই প্রবণতা দেখেই ইউরোপীয় সংবাদমাধ্যমে একটি সাক্ষাৎকারে ওলাঁদ বলেছেন, সর্বশক্তি দিয়ে এই জয় ঠেকাতে হবে।
কেন? কারণ মারিনের মধ্যে ট্রাম্পের ফরাসি সংস্করণের ছায়া দেখছেন অনেকেই। ওলাঁদ সেই দলেই পড়েন। তাঁর উদ্বেগ সপ্তমে চড়িয়ে মারিন এখন প্রচারে বলে বেড়াচ্ছেন— বিশ্বায়ন আসলে ফরাসিদের চাকরির ক্ষেত্রে একটা বড় ভয়ের কারণ! একের পর এক জঙ্গি হামলায় বিপর্যস্ত ফ্রান্সে সন্ত্রাস বেড়ে চলার পিছনে দায়ী মুসলিমরাই! ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) একটি গণতন্ত্র-বিরোধী ‘দৈত্য’! ভোটারদের কাছে তাঁর প্রতিশ্রুতি: ফ্রান্সে শরণার্থীদের প্রবেশ এক নিমেষে কমিয়ে দেব, বৈদেশিক বাণিজ্যে বাধা দেব, ফ্রাঁ-এর পুনর্জন্ম ঘটিয়ে ইউরোর গুরুত্ব কমাবো এবং ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য গণভোটের ডাক দেব।
এই পরিস্থিতিতে সোশ্যালিস্ট পার্টির নেতা প্রেসিডেন্ট ওলাঁদের সতর্কতা, ‘‘গত ৩০ বছরে ভোটে অতি দক্ষিণপন্থীদের এত বাড়বাড়ন্ত দেখা যায়নি। ফ্রান্সে কিছুতেই এমন জয় আসতে দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ফ্রান্স যেন কোনও অবস্থাতেই বেরিয়ে না যায়, সুনিশ্চিত করতে হবে সেটাও।’’
দেশে বেকারি রুখতে গত পাঁচ বছর ধরে আপ্রাণ লড়াই চালিয়েছেন ওলাঁদ। কিন্তু পরবর্তী প্রেসিডেন্টের পদে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে ভোটের হারে পিছিয়ে পড়ে গত বছরের শেষে তিনি ঠিক করেন দ্বিতীয় দফায় আর লড়বেন না। দুর্নীতির অভিযোগে আপাতত দৌড়ে থাকা রিপাবলিকান প্রার্থী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ফ্রাসোয়াঁ ফিলঁ-ও কিছুটা পিছিয়ে পড়েছেন। সরকারি খাত থেকে খরচ করে স্ত্রীকে পার্লামেন্টারি অ্যাসিস্ট্যান্ট পদ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।