এই স্কেচ দেখে অপরাধী ধরা সম্ভব? পড়েই দেখুন...

৩০ জানুয়ারি পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের একটি ফার্মার্স মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্র দেখিয়ে, টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। তার কোনও হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পেনসিলভেনিয়া শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৬:২২
Share:

এই সেই স্কেচ।

স্কেচটি দেখে কী মনে হচ্ছে? কার্টুনের পাতা থেকে উঠে আসা কোনও মুখ? শিশুর হাতের আঁকা? না কি, অপেশাদার হাতে সময় কাটানোর অলস প্রচেষ্টা? যদি বলা হয়— এই স্কেচটিই ধরিয়ে দিয়েছে এক দাগী দুষ্কৃতীকে, তা হলে যে কেউ অবাকই হবেন। কিন্তু সম্প্রতি এমনটাই ঘটেছে আমেরিকার পেনসিলভেনিয়ায়।

Advertisement

ওয়াশিংটন পোস্টের খবর অনুযায়ী, ৩০ জানুয়ারি পেনসিলভেনিয়ার ল্যাঙ্কাস্টারের একটি ফার্মার্স মার্কেটে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। অস্ত্র দেখিয়ে, টাকা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতী। তার কোনও হদিশ পাচ্ছিল না পুলিশ।

এর মধ্যেই ওই ডাকাতির ঘটনার এক প্রত্যক্ষদর্শী অপটু হাতে এই স্কেচটি এঁকে ফেলেন। মোটা দাগের পেন্সিলের আঁচড়, ভ্রু-হীন, এক কানের এই স্কেচ দেখে প্রথমে আমলই দেয়নি পুলিশ। এ দেখে অপরাধীকে চিহ্ণিত করা? সে কী করে সম্ভব?

Advertisement

আরও পড়ুন: ভয়াল স্মৃতিটা ভুলতে চান উত্তর কোরিয়ার মহিলা ঘাতক-চর

কিন্তু অসম্ভবকেই সম্ভব করে দেয় এক পুলিশকর্মীর প্রখর দৃষ্টি আর স্মৃতি। স্কেচটি দেখে হুং ফু এনগুয়েন নামে এক দুষ্কৃতীর মুখের কথা মনে পড়ে যায় তাঁর। অনেকটা যেন মিলে যাচ্ছে। এর পর, পুলিশ ফাইলে থাকা এনগুয়েনের ছবি দেখানো হয় সেই প্রত্যক্ষদর্শীকে। এক বার দেখেই ডাকাতকে চিনে ফেলেন তিনি।


স্কেচের পাশে অভিযুক্ত এনগুয়েন।

এনগুয়েনের খোঁজ শুরু হয়ে গিয়েছে। হয়ত ধরাও পড়ে যাবে শীঘ্রই। কিন্তু এই ঘটনা অপরাধবিজ্ঞানের একটা বহু প্রচলিত কথাকে ফের মনে করিয়ে দিল। অনেক ‘মামুলি’ জিনিসও সত্যান্বেষণে চাবিকাঠি হয়ে ওঠে বহু সময়। বিলেতের শার্লক হোমস থেকে শুরু করে এ বঙ্গের ব্যোমকেশ বক্সী বা ফেলু মিত্তিরদের কথা যে নিছকই গল্পকথা নয়— বাস্তব তা বারবার দেখিয়ে দেয়।

ছবি ল্যাঙ্কাস্টার পুলিশের ফেসবুকের সৌজন্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement