প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ফাইল চিত্র।
রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ চলছেই। ফলে পশ্চিমী বিশ্বে রাশিয়াকে ‘বয়কট’ করার ডাক উঠছে। কিন্তু ‘জাতীয় স্বার্থে’র কথা মাথায় রেখে রাশিয়ার থেকে খনিজ তেল কেনায় লাগাম টানেনি ভারত। কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রেখেছে। এই আবহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রায় একই সময়ে উজবেকিস্তান এবং ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও আলাদা বৈঠকে বসতে পারেন তিনি।
আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার উজবেকিস্তানের সমরখন্দে সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশনের সম্মেলন হতে চলেছে। সেই সম্মেলন চলার সময়েই তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে পার্শ্ববৈঠক করতে পারেন মোদী। তবে পাকিস্তান এবং চিনের রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে তাঁর বৈঠকের সম্ভাবনা প্রায় নেই। পাকিস্তান বিদেশমন্ত্রকের তরফে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদীর বৈঠকের সম্ভাবনা নস্যাৎ করে দেওয়া হয়েছে। ভারত-চিন শীর্ষ পর্যায়ের বৈঠক নিয়েও দুই দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
কোভিড অতিমারির কারণে দু’বছর বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার এই সম্মেলন শুরু হতে চলেছে। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভের সঙ্গে প্রথম বৈঠকটি করতে পারেন মোদী। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এক ঘনিষ্ঠের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মোদীর সঙ্গে পুতিনের বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়ে কথা হতে পারে। ভারতের সঙ্গে বৈঠকে তেল আমদানির বিষয়টি পুনরায় পুরোমাত্রায় চালু করার বিষয়টি তুলতে পারে ইরান। ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত ইরান ছিল ভারতকে তেল রপ্তানিকারক প্রধান তিনটি দেশের একটি মধ্যে একটি। কিন্তু এই বিষয়ে আমেরিকা ভারতের উপর চাপ সৃষ্টি করায়, ইরান থেকে খনিজ তেল কেনা বন্ধ করে দেয় ভারত। আমেরিকার এই ‘হস্তক্ষেপ’কে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের ‘অযথা হস্তক্ষেপ’ বলে আগেই তোপ দেগেছিল ইরান। জ্বালানির জন্য এর পরই রাশিয়া-নির্ভরতা বাড়ায় নয়াদিল্লি। যুদ্ধের আবহেও রাশিয়ার থেকে তেল কেনার পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে গিয়েছে ভারত। এই আবহে ইরান ফের তেল কেনার জন্য ভারতের কাছে আর্জি জানাতে পারে।