—ফাইল চিত্র।
আবার এসেছে শরৎ। সুনীল আকাশে আজ ধবল মেঘের আলপনা। শিশির ভেজা মাঠে মোহময় সবুজের পশম, কাশবনে মিষ্টি হাওয়ার দোল। সাজো সাজো রব— মা আসছেন।
ভারতের দক্ষিণপূর্বে অবস্থিত দেশ মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালা লামপুরে মা দশভূজার পুজো বেশ কিছু বছর ধরে করে আসছে ‘অভিযান রিক্রিয়েশন ক্লাব’। প্রতি বছর মা দুর্গাকে অতি আনন্দের সঙ্গে পুজো করে প্রায় দু’শো পরিবার। কুমোরটুলি থেকে আনা মূর্তির পুজো হয় ষষ্ঠী থেকে দশমী। পাঁচ দিন অতি নিষ্ঠা আর ভক্তির সঙ্গে আমাদের ক্লাব মা দশপ্রহরণধারিণীর পুজো করে ১০০ বছরের পুরনো ঐতিহাসিক বিবেকানন্দ আশ্রমের শিবানন্দ হলে। নিম-অশ্বত্থে ঘেরা আশ্রমের সবুজ প্রাঙ্গণে তৃতীয়া থেকে শুরু হয়ে যায় বিশাল প্যান্ডেলের আয়োজন, ক্লাবের কর্মকর্তাদের ব্যস্ততা। শহরের দক্ষিণ কোণে দুর্গাপুজো করে আরও একটি ক্লাব— ‘মালয়েশিয়ান বেঙ্গলি অ্যাসোসিয়েশন’। মায়ের আগমনী গান ও ঢাকের মিষ্টি আওয়াজে ভরে ওঠে এই দু’ক্লাবের প্রাঙ্গণ।
এ বারও ষষ্ঠীর সকাল থেকে পুজো শুরু হবে। আশ্রমের প্রাঙ্গণেই রয়েছে কলাগাছ, আমগাছ, বেলগাছ ও অনেক ফুলগাছ। জগজ্জননীর আশীর্বাদে শরতের ছোঁয়ায় আশ্রম প্রাঙ্গণ পুজোর আগেই সেজে ওঠে প্রতিবার। ঢাক-কাঁসরের বাদ্যে এই শিব প্রাঙ্গণ হয়ে উঠবে মুখরিত। প্রতিবারের মতো এ বারেও অঞ্জলি দেবেন প্রচুর প্রবাসী বাঙালি। দুপুরে খিচুড়ি ভোগ বিতরণ। ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত প্রতি সন্ধ্যায় থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঞ্চস্থ হবে রবিঠাকুরের লেখা ছোটদের নাটক। থাকবে দেশের নানা ঘরানার নাচ ও নৃত্যনাট্যও। আর কিছু দিন বাদেই মহালয়া। পুজোর আনন্দবার্তা ছড়িয়ে পড়েছে এই পাহাড়ঘেরা শহরে।
মা আসছেন আশ্রম প্রাঙ্গণে ।