—প্রতীকী চিত্র।
রামায়ণে লক্ষ্মণের হাতে নাক কাটা গিয়েছিল সুর্পণখার। পরস্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে পাকিস্তানে নাক-কান, দুই-ই কাটা গেল এক যুবকের। প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন এবং ছুরিকাঘাতে নাক ও কান কেটে নেন বলে অভিযোগ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জেরায় তিনি অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশ।
লাহৌর থেকে ৩৭৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পঞ্জাব প্রদেশের মুজফ্ফরগড়ের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরছিলেন মহম্মদ আক্রম। সেই সময় কয়েক জনকে সঙ্গে নিয়ে তাঁর উপর চড়াও হন পাড়ারই বাসিন্দা আবদুল কায়ুম। প্রথমে তাঁদের মধ্যে বচসা বাধে। কেন তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছেন, তা নিয়ে আক্রমকে হেনস্থা করতে শুরু করেন তাঁরা।
সকলে মিলে আক্রমকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যান বলেও অভিযোগ। সেখানে ধস্তাধস্তি শুরু হলে, সকলে মিলে আক্রমকে চেপে ধরেন এবং কায়ুম ছুরি দিয়ে তাঁর নাক ও কান কেটে নেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গুরুতর জখম অবস্থায় মুলতানের নিশতর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন আক্রম। কায়ুমকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেরায় তিনি অপরাধ স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বাকি সহযোগীদের খোঁজ চলছে।
উল্লেখ্য, পরিবারের সম্মানরক্ষার নামে (অনার কিলিং) প্রতিবছর পাকিস্তানে ১ হাজারের বেশি মহিলা এবং ৬০০ থেকে ৮০০ পুরুষ খুন হন।