মুজফ্ফরাবাদে একটি জনসভায় ইমরান খান।—ছবি রয়টার্স।
তিনি এমন ভাবে কাশ্মীরিদের পাশে থাকবেন, যে অতীতে পাকিস্তানের কোনও নেতা তেমন ভাবে থাকেননি। শুক্রবার পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাজধানী মুজফ্ফরাবাদে একটি জনসভায় এই দাবি করলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি বলেন, কাশ্মীর সমস্যা ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে উঠেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই প্রথম বলেছে, রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রস্তাবনা অনুসারে এই সমস্যার সমাধান দরকার। ওআইসি সহ ৫৮টি দেশ কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে। ব্রিটিশ পার্লামেন্টেও কাশ্মীর নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জও কাশ্মীর নিয়ে বিশেষ অধিবেশন করেছে।
আগামী সপ্তাহে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ পরিষদের বক্তৃতায় তিনি কাশ্মীর সমস্যাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে উত্থাপন করবেন। কাশ্মীরিদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে সরব হবেন। তিনি বলেন, ‘‘(নরেন্দ্র) মোদীকে একটা বার্তা দিতে চাই— অত্যাচার চালিয়েও জিততে পারবেন না। কারণ কাশ্মীরিরা আমরণ লড়াই করতে জানে। তাদের পরাজিত করা যায় না।’’
সন্ত্রাসের জন্য পাকিস্তানের দায় অস্বীকার করে ইমরান বলেন, ভারতীয় সেনাদের একের পর এক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা থেকে কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। হতাশা থেকেই সন্ত্রাসের জন্ম হচ্ছে সেখানে। পুলওয়ামার হামলাও তেমন ঘটনা বলে বর্ণনা করেন পাক প্রধানমন্ত্রী। ইমরান বলেন, ‘‘এমন অবিচারের স্বীকার হলে আমি নিজেও তার বিরুদ্ধে আমৃত্যু লড়াই করতাম। কারণ অপমানের চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়।’’ বিজেপি সরকারকে ‘ফ্যাসিস্ত’ ও ‘আধিপত্যবাদী’ আখ্যা দিয়ে ইমরান এ দিন বলেন, ‘‘ইট ছুড়লে পাথরে তার জবাব দেব। নিয়ন্ত্রণ রেখার দিকে এগোবার চেষ্টাটুকুও কোরো না!’’
পাকিস্তানের দূত মালিহা লোধি শুক্রবার সাধারণ সভায় দাবি করেন, কাশ্মীরে ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদ করে ভারত নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা লঙ্ঘন করেছে। কাশ্মীরে কার্ফু জারি, টেলি-যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা, রাজনৈতিক নেতাদের বন্দি করা নিয়েও
নয়াদিল্লিকে চাপ দিতে আর্জি জানান তিনি। রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারতের ফার্স্ট সেক্রেটারি সন্দীপকুমার বায়াপু বলেন, ‘‘ভারতের বিরুদ্ধে ভুয়ো খবর ছড়াতে রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চকে ব্যবহার করছে পাকিস্তান।’’