নিয়ন্ত্রণরেখার ওপাশে গিয়ে ভারতের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবিকে খারিজ করে দিয়েছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের দাবি, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নয়, নয়াদিল্লি আসলে নিয়ন্ত্রণরেখায় সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। এর ফলে মৃত্যু হয়েছে তাদের দু’জন সেনার। তবে ভারতের আক্রমণের যোগ্য জবাব দেওয়া হয়েছে বলেই দাবি করেছে পাক সেনা। পাক সেনা সূত্রকে উল্লেখ করে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, নিয়ন্ত্রণরেখায় তাতপানিতে এক জন ভারতীয় সেনাকে বন্দি করেছে পাকিস্তান। রাতের লড়াইয়ে নিহত আট ভারতীয় সেনা। দাবি করা হয়েছে, যে ভারতীয় সেনাকে পাকিস্তান বন্দি করেছে, তাঁর নাম বাসন চহ্বাণ (২২)। তাঁর বাড়ি মহারাষ্ট্রে। বন্দি ভারতীয় সেনাকে অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে দাবি। কিন্তু নিহত ভারতীয় সেনাদের দেহ পাকিস্তানের হাতে নেই বলে জানানো হয়েছে। তবে পাক সেনার পক্ষ থেকে এ নিয়ে কথা বলা হয়নি।
গভীর রাতে ভারতের আচমকা আক্রমণের পরেই আজ দিনভর পাল্টা রণনীতি তৈরিতে ব্যস্ত ছিল পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন সেনাপ্রধান রাহিল শরিফের সঙ্গে। পাক সংবাদমাধ্যমের দাবি, রাহিল শরিফ দেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, ভারতের তরফে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি ভিত্তিহীন। তবে তিনিই পরে দেশের কয়েক জন জনপ্রতিনিধিকে জানান, পাকিস্তান এর বদলা নেবে। গোটা ঘটনাকে ভিত্তিহীন বললেও পাক সেনাপ্রধান কেন বদলার কথা বললেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
রেডিও পাকিস্তানের খবর, ভারতের আঘাতের পরেই নওয়াজ শরিফ বলেন, পাকিস্তানের সেনা দেশকে রক্ষা করতে জানে। ভারতকে মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ইসলামাবাদ। শরিফের মন্তব্য, ‘‘যদি সার্বভৌমত্বে আঘাত আসে, পাকিস্তান তার জবাব দেবে।’’ নওয়াজ বলেছেন, ‘‘পাকিস্তান শান্তি চায়। তবে একে দুর্বলতা ভাবার কোনও কারণ নেই।’’ এই টানাপড়েনের মধ্যে ইসলামাবাদে ভারতের হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছে পাকিস্তানের বিদেশ মন্ত্রক।
নয়াদিল্লিকে জবাব দিতে কী ভাবে এগোনো হবে, তা নিয়ে কথা বলতে আগামিকাল মন্ত্রিসভার বৈঠক ডেকেছেন নওয়াজ। সার্ক সম্মেলন বয়কট করতে নরেন্দ্র মোদী সরকারের সিদ্ধান্ত ও ভারতের আক্রমণের বিষয়ে সেখানে আলোচনা হবে। গত কালই পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা মহম্মদ আসিফ হুমকি দিয়েছিলেন, প্রয়োজন হলে ভারতের উপর পরমাণু হামলা চালানোর কথাও ভাববে ইসলামাবাদ।