ইমরান বলেন, বিদেশি শক্তিগুলি একজন নমনীয় প্রধানমন্ত্রী চায় এবং সে কারণেই তারা তাঁকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন।
ফাইল ছবি
অনাস্থা ভোটের আগে দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে মেনে নিয়েও ইমরান খান বলেন, বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করল না শীর্ষ আদালত। একটি দীর্ঘ টেলিভিশন ভাষণে তিনি ফের বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঘোড়া কেনাবেচার অভিযোগ তুললেন। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি বিশ্বের নানা দেশ ঘুরেছি, কিন্তু কোথাও এমন খোলামেলা দুর্নীতি দেখিনি।’’
ইমরান বলেন, বিদেশি শক্তিগুলি একজন নমনীয় প্রধানমন্ত্রী চায় এবং সে কারণেই তারা তাঁকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি এই রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের উপর আক্রমণ বলে অভিহিত করেছেন। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমরা ২২ কোটি মানুষ। বাইরে থেকে কেউ ২২ কোটি মানুষকে এই নির্দেশ দিচ্ছে, এটা অপমানজনক।’’ তিনি ভাষণে ভারতের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘‘কোনও বড় শক্তি ভারতকে কোনও নির্দেশ দিতে পারে না।’’
তাঁর সরকারের পতন ‘উদ্যাপন’ করার অভিযোগ এনে দেশের সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধেও ক্ষোভ উগরে দেন ইমরান।
ইমরান বলেন, ‘‘আমেরিকার কূটনীতিকরা আমাদের লোকদের সঙ্গে দেখা করেন। তারপরই আমরা পুরো পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে পেরেছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই পরিকল্পনার বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ্যে আনছি না।’’
আস্থা ভোটে পতন অবশ্যম্ভাবী ধরে নিয়ে তিনি দেশবাসীকে রবিবার ‘আমদানি করা সরকারের’ বিরুদ্ধে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, অনাস্থা প্রস্তাব খারিজ এবং ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে বৃহস্পতিবার অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করে পাক সুপ্রিম কোর্ট। টানা চার দিনের শুনানির পর প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্দিয়ালের নেতৃত্বে গঠিত পাক সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ এই ঘোষণা করে।