হিন্দু মন্দিরে হামলার নিন্দা করে সর্বসম্মত ভাবে একটি প্রস্তাব পাশ করল খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক আইনসভা।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের রহিম ইয়ার খান জেলার ভঙ্গ শহরে হিন্দু মন্দিরে হামলার নিন্দা করে সর্বসম্মত ভাবে একটি প্রস্তাব পাশ করল খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক আইনসভা। হিন্দু মন্দিরে ওই হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে আসরে নেমে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানানোর পাশাপাশি দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। তার পরেই ওই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত-সহ ৫০ জনেরও বেশি জনকে গ্রেফতার করে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছে পুলিশ।
ঘটনার পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও এ নিয়ে কড়া ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বিষয়টি তার পরেও থামছে না। পাকিস্তানে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপরে অত্যাচারের বিষয়টি নিয়ে সরব নয়াদিল্লি। তার মধ্যেই বুধবারের ওই হামলার ঘটনা নিয়ে একটি নিন্দা প্রস্তাব আনেন খাইবার পাখতুনখোয়া প্রাদেশিক আইনসভার সংখ্যালঘু সদস্য রবি কুমার। আইনসভার বাকি সদস্যদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই গত জানুয়ারিতে একটি হিন্দু মন্দিরে হামলার পরে মন্দিরটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট। তার পর থেকেই চাপে থাকা পাকিস্তান সরকার এখন প্রমাণ করতে চায়, তাদের দেশে সংখ্যালঘুদের উপরে কোনও ঘটনা ঘটলে সরকার চুপ করে থাকে না।