জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে জামাত উদ দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদের যোগ মানতে বাধ্য হল পাকিস্তান। সইদ-সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আজ সন্ত্রাস-বিরোধী আইন প্রয়োগ করেছে ইসলামাবাদ। তার পরেই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেছে আমেরিকা।
সম্প্রতি সইদ ও তার কয়েক জন সহযোগীকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তানে। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের চাপেই এই পদক্ষেপ বলে ধারণা কূটনীতিকদের। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে সইদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপকে সমর্থন করে জঙ্গিদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত পাক সেনাও। তবে শেষ পর্যন্ত সইদের বিরুদ্ধে সত্যিই নওয়াজ শরিফ সরকার কতটা কড়া ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে দিল্লির।
পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের পুলিশের সন্ত্রাস-দমন দফতর আজ জানিয়েছে, ইসলামাবাদের নির্দেশে সইদ ও চার জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস-বিরোধী আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। বাকিদের মধ্যে রয়েছে সইদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কাজি কাসিফ এবং অন্য চার জঙ্গি নেতা আব্দুল্লা ওবেইদ, জাফর ইকবাল ও আব্দুর রহমান আবিদ। পাক সরকার সূত্রে খবর, আগেই সইদ–সহ ৩৮ জনকে ‘এক্সিট কন্ট্রোল’ তালিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা অনুমতি ছাড়া পাকিস্তান ছে়ড়ে যেতে পারবেন না। এ বার সন্ত্রাস-বিরোধী আইন প্রয়োগ করায় সইদের সম্পত্তি, আর্থিক লেনদেন সম্পর্কে বিশদে তদন্ত করতে পারবে শরিফ সরকার।
আরও পড়ুন: বাড়ছে চাকরি, দাবি ট্রাম্পের
বস্তুত আজই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পাকিস্তানের ভূমিকার প্রশংসা করেছে মার্কিন বিদেশ দফতর। বিদেশ দফতরের মুখপাত্রের কথায়, ‘‘সন্ত্রাস-বিরোধী লড়াইয়ে পাকিস্তানের পাশে থাকাই মার্কিন স্বার্থের পক্ষে অনুকূল বলে আমাদের ধারণা।’’ দিল্লি অবশ্য এখনও খুব বেশি উৎসাহী হতে রাজি নয়। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের মতে, যদি সইদ পাক আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন তবেই বোঝা যাবে পাকিস্তান সন্ত্রাস-দমনে সত্যিই আন্তরিক।