পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি। —ফাইল চিত্র।
তোশাখানা মামলায় গত জানুয়ারিতে পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারাবাসের সাজা পেয়েছিলেন তিনিও। কিন্তু প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবি এত দিন খানের ইসলামাবাদের বানি গালার বাড়িতে গৃহবন্দি ছিলেন। ওই বাড়িটিকে সাব-জেলে রূপান্তরিত করা হয়েছিল আদালতের নির্দেশেই। তবে এ বার বুশরাকে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। ওই একই জেলে বন্দি রয়েছেন ৭০ বছরের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক ইমরানও।
জানুয়ারিতে ইমরানের সঙ্গে বুশরাও যখন দোষী সাব্যস্ত হন, আদিয়ালা জেলের সুপার আদালতকে জানিয়েছিলেন, তাঁদের কারাগারে ইতিমধ্যেই ভিড় উপচে পড়ছে। বুশরার মতো ‘হাই প্রোফাইল’ বন্দিকে সেখানে রাখা এবং তাঁর সুরক্ষার ব্যবস্থা করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। তার পরেই পাকিস্তানের দুর্নীতি দমন আদালত বুশরাকে গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দেয়।
তবে গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাড়ি ছেড়ে জেলে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য ইসলামাবাদ হাই কোর্টের কাছে আর্জি জানান বুশরা। তিনি জানিয়েছিলেন, পাকিস্তানের সংবিধান মেনে বাকি সব রাজনৈতিক বন্দির মতো তিনিও কারাগারেই তাঁর ১৪ বছরের সাজা কাটাতে চান। তাঁর জন্য পাকিস্তানের বিচারব্যবস্থা অন্য কোনও বিশেষ ব্যবস্থা করুক, সেটা তিনি একেবারেই চান না। তা ছাড়া, বানি গালার বাড়িতে তিনি আদৌ সুরক্ষিত নন বলেও দাবি করেছিলেন বুশরা। যখন-তখন তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছিলেন তিনি। কয়েক সপ্তাহ আগে নিজের আইনজীবীদের মাধ্যমে ইমরানও অভিযোগ করেন, তাঁর স্ত্রীকে খাবারের মধ্যে বিষ মিশিয়ে মেরে ফেলার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগের তির ছিল বর্তমান পাক সরকারের দিকে। প্রধানমনন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের প্রশাসন ইমরানের অভিযোগ অস্বীকার করে। তবে বুশরার সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে তাঁকে দ্রুত বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরিত করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁর আইনজীবী নইম পঞ্জুথা।
কিছু দিন আগে এই মামলার শুনানি শেষ হলেও আদালত এ নিয়ে রায়দান স্থগিত রেখেছিল। আজ ইসলামাবাদ হাই কোর্টের বিচারপতি মিয়াঙ্গুল হাসান ঔরঙ্গজ়েব বুশরার আবেদন মেনে নিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে কারাগারে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে আদালতের এই নির্দেশের কথা পোস্ট করেছেন বুশরার আইনজীবী নইম। তবে ইসলামাবাদের ওই বিলাসবহুল ম্যানসন থেকে ঠিক কবে বুশরাকে রাওয়ালপিন্ডি নিয়ে যাওয়া হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।