—প্রতীকী ছবি।
ভারতীয় সীমান্তের খুব কাছে এসে সামরিক মহড়ায় পাকিস্তান। পঞ্জাব সীমান্তে আয়োজিত এই মহড়ায় প্রধান অতিথি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। পাক সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ নিজেও মহড়ায় হাজির থাকছেন। ভারত-পাক সীমান্তে উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন কৌশলগত ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকায় প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধানের উপস্থিতিতে পাক বাহিনীর মহড়া অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ একটি ঘটনা, বলছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
যে এলাকায় পাক বাহিনী মহড়া শুরু করেছে, সেই এলাকাটি পঞ্জাবের ভাওয়ালপুর শহরের খুব কাছাকাছি। স্থলসেনা এবং বিমানবাহিনী যৌথ ভাবে মহড়া দিচ্ছে। মহড়ায় ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটেলিয়ন এবং হেলিকপ্টার গানশিপ অংশ নিয়েছে। ভারত-পাক সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পাক বাহিনী কতটা প্রস্তুত, তা খতিয়ে দেখতেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এবং বিমানবাহিনীর এই যৌথ মহড়া বলে ইসলামাবাদ সূত্রের খবর। প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ এবং সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ মহড়ায় উপস্থিত থেকে স্বচক্ষে নিজেদের বাহিনীর সক্ষমতা যাচাই করে নিতে চাইছেন বলে পাকিস্তানের দাবি। তবে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় আয়োজিত মহড়ায় নওয়াজ এবং রাহিলের উপস্থিত হওয়ার সিদ্ধান্ত আসলে ভারতকে প্রচ্ছন্ন হুঁশিয়ারি দেওয়ার কৌশল। বলছেন ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন: সিরিয়ায় রুশ বিমান হানা
মাত্র কয়েক দিন আগেই নিয়ন্ত্রণরেখায় ভারতের জবাবি গোলাবর্ষণে ৭ পাক জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। বেনজির স্বীকারোক্তিতে পাকিস্তান নিজেই জানিয়েছে সে কথা। তার পরই পঞ্জাব সীমান্তে আয়োজিত মহড়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর হাজির হচ্ছেন। স্বাভাবিক ভাবেই অন্য বার্তা দেখতে পাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
মঙ্গলবারই পাক প্রধানমন্ত্রী হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, পাকিস্তানকে ভয় দেখিয়ে ভারত সুবিধা করতে পারবে না এবং পাকিস্তানের ‘সংযম’কে ভারত যেন ‘দুর্বলতা’ না ভাবে।