দৈনিক সংক্রমণে ফের রেকর্ড গড়ল ব্রিটেন ছবি রয়টার্স।
এক দিনে করোনা-আক্রান্ত ১ লক্ষ ১৯ হাজার বাসিন্দা। ফের রেকর্ড গড়ল ব্রিটেন। এই নিয়ে পরপর দু’দিন দৈনিক সংক্রমণ এক লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল। আগের দিন সংক্রমিত ধরা পড়েছিলেন ১ লক্ষ ৬ হাজার জন।
ইউরোপের দেশগুলির মধ্যে অতিমারিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিটেন। এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১ লক্ষ ৪৭ হাজার ৭২০ জনের। ২০২০ সালের শুরুর দিকে প্রথম এ দেশে ছড়ায় করোনা। সেই থেকে এ পর্যন্ত, এত বেশি সংক্রমণ দেখেনি ব্রিটেন। হাসপাতালে করোনা-রোগীর ভর্তিও বেড়েছে। তবে আগের থেকে কম। মন্দের মধ্যে ভাল খবর এটিই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘‘ডেল্টার থেকে ওমিক্রনে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা কম।’’ দু’টি সমীক্ষাতেও তেমনই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তবে একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন, সংক্রমিতের সংখ্যা যদি মারাত্মক হারে বাড়তে থাকে, শতাংশের হিসেবে হাসপাতালে ভর্তি কম থাকলেও সংখ্যাটা নেহাত কম হবে না। হাসপাতালের শয্যার অভাব দেখা দেবে, চিকিৎসক-নার্স মিলবে না।
বড়দিনের উৎসবে তাই কড়াকড়ি শুরু করেছে প্রশাসন। গত কাল স্কটল্যান্ডের প্রশাসন ঘোষণা করেছে, বছর শেষের এক সপ্তাহ সমস্ত নাইটক্লাব বন্ধ থাকবে। এডিনবরায় বছর শেষের রাতে আতসবাজির রোশনাই দেখতে ভিড় করেন মানুষ। এ বছর সেই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। এতে যাঁরা আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, তাঁদের অর্থসাহায্য দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সরকার। স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টারজন বলেন, ‘‘ঢেউ নয়, সংক্রমণের সুনামি আছড়ে পড়েছে।’’
ফ্রান্সের অবস্থাও শোচনীয়। ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক সংক্রমণ ছিল ৯১,৬০৮। গত দু’বছরে যা সর্বোচ্চ। সরকারই জানিয়েছে, শীঘ্র ১ লক্ষ ছাড়াবে দৈনিক সংক্রমণ। এ দেশেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘ভ্যাকসিন পাস’ দেখাতে হচ্ছে। অর্থাৎ টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়া না-থাকলে বহু জায়গাতেই প্রবেশ নিষেধ। বেলজিয়ামে সিনেমা, থিয়েটার, জাদুঘর, গ্রন্থাগার, জিম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। গ্রিসেও বড়দিনের কনসার্ট বাতিল হয়েছে। জার্মানিতেও নাইটক্লাব বন্ধ করা হয়েছে। ১০ জনের বেশি এক জায়গায় জমায়েত করা বারণ। ফুটবল ম্যাচ বা অন্য কোনও খেলা চললে স্টেডিয়ামে দর্শকাসন ফাঁকা রাখার নিয়ম করা হয়েছে। স্পেন, নেদারল্যান্ডস, ডেনমার্কেও ভ্যাকসিন নিয়ে কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। ওমিক্রন নিয়ে ত্রস্ত গোটা মহাদেশ।