এ বার পিটিআই-কে পাল্টা।
পাকিস্তানের ভোটে একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসা ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ (পিটিআই) যখন সরকার গঠনের দিকে এগোচ্ছে, ঠিক তখনই নিজেদের তরফে প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করল বিরোধী জোট।
কাল ইসলামাবাদে নওয়াজ় শরিফের দল পিএমএলএন, বিলাবল জ়ারদারি ভুট্টোর দল পিপিপি এবং আরও বেশ কয়েকটি দল একজোটে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে বিরোধী জোট জানায়, পিএমএলএনের তরফে কোনও প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে। স্পিকার পদে প্রার্থী দেবে পিপিপি।
২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে দেদার রিগিং হয়েছে বলে আগেই অভিযোগ এনেছিল বিরোধীরা। সেই সূত্রেই আজ বৈঠকে বসে পাকিস্তান মুসলিম নওয়াজ় (পিএমএন-এল), পাকিস্তান পিপ্লস পার্টি (পিপিপি), মুত্তাহিদা মজলিশ-ই-অমাল (এমএমএ), আওয়ামি ন্যাশনাল পার্টি, পাখতুনখোয়া মিলি আওয়ামি পার্টি, ন্যাশনাল পার্টি বালোচিস্তান, কোয়ামি পার্টি এবং পাক সারজ়ামিন পার্টি।
সেনেটের বিরোধী নেত্রী, পিপিপির শেরি রহমান বলেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়ার নানা স্তরে ঢালাও কারচুপি হয়েছে। তাই আমরা এই ফলাফল মানি না।’’ তিনি আরও জানান, এর বিরুদ্ধে পার্লামেন্টের ভিতরে এবং বাইরে প্রতিবাদ চালিয়ে যাবেন তাঁরা।
যদিও ইমরানের দল পিটিআই এই জোটকে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ। তাদের বক্তব্য, রাজনৈতিক মতামত প্রকাশের অধিকার সকলের রয়েছে। প্রয়োজনে তাদের সমস্যা নিয়ে বিরোধীদের পিটিআইয়ের কাছে দরবার করার পরামর্শও দেন দলের মুখপাত্র ফাওয়াদ চৌধুরি। ২৫ জুলাইয়ের নির্বাচনে মোট ২৭২টি আসনের মধ্যে ১১৬টি আসনই পিটিআইয়ের দখলে। তা ছাড়া, তাদের সঙ্গে কয়েকটি ছোট দল এবং নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনও রয়েছে। ফলে জোটের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও সরকার গড়তে তাঁদের খুব একটা অসুবিধে হবে না বলেই মত পিটিআই নেতৃত্বের।
তবে অন্য একটা অঙ্কও দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা। পিপিপি-পিএমএলএনের ইতিমধ্যেই একশোরও বেশি আসন রয়েছে। ১১ জুলাইয়ের আগে তাদের বৃহত্তর জোট যদি আরও কিছু দলকে তাদের সঙ্গে পায়, সে ক্ষেত্রে ইমরানের দলের পক্ষে সরকার গঠন মুশকিল হবে বলে মনে করছেন তাঁরা।