আলেক্সেই নাভালনি।
অন্তর্বাসের মধ্যে বিষ ঢুকিয়ে তাঁকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিল। ফেডেরাল সিকিউরিটি সার্ভিস-এর বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাশিয়ার বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনি।
নাভালনির দাবি, নিজেকে সিকিউরিটি কাউন্সিল-এর প্রধান নিকোলাস পাত্রুশেভের সহযোগী হিসেবে পরিচয় গিয়ে ফেডেরাল সিকিউরিটি সার্ভিস-এর রাসায়নিক অস্ত্র বিশেষজ্ঞকে ফোন করেছিলেন তিনি। কৌশলে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে বিষপ্রয়োগের তথ্য বার করেছেন বলে দাবি নাভালনির।
টুইটে নাভালনি লেখেন, ‘আমাকে হত্যার করার কাজে যাঁকে নিয়োগ করা হয়েছিল তাকে ফোন করেছিলাম। সে সব কিছু স্বীকার করেছে’। তাঁদের কথোপকথনের একটি অডিও এবং ফোন কলের একটি রেকর্ডও করে রেখেছেন বলে দাবি নাভালনির। যদিও নাভালনির এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে পাল্টা দাবি করেছে ফেডেরাল সিকিউরিটি সার্ভিস। পাল্টা তারা বলেছে, এই সংস্থাকে বদনাম করার জন্যই এ কথা বলছেন নাভালনি।
গত অগস্টে সাইবেরিয়া থেকে মস্কো যাওয়ার পথে বিমানেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন নাভালনি। প্রথমে রাশিয়ার ওমস্ক শহরের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে বার্লিনে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল তাঁকে।
নাভালনিকে বিষপ্রয়োগ করার বিষয়টি গত সপ্তাহেই খারিজ করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পাল্টা অভিযোগ করেছিলেন, নাভালনির পিছনে আমেরিকার গোয়েন্দাদের সমর্থন রয়েছে। পুতিন আরও বলেন, “যদি রাশিয়ার স্পেশাল সার্ভিস চাইত তা হলে ওঁকে জীবিত না রেখে সব শেষ করেই দিত। যদিও পুতিন নাভালনির সরাসরি নাম নেননি। তাঁকে ‘বার্লিনের রোগী’ বলেই উল্লেখ করেছিলেন।
তবে নাভালনির অভিযোগ, পুতিনই তাঁকে খতম করতে চেয়েছিলেন। বিষপ্রয়োগের ধারণাটা তাঁরই মস্তিষ্কপ্রসূত। এর পরেই পুতিনকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘খুব শীঘ্রই সুস্থ হয়ে আবার রাশিয়ায় ফিরব।’’