পরমাণু পরীক্ষা চলবেই: কিম

গত শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্য দেশের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আনা নয়া নিষেধাজ্ঞা। আমেরিকা খসড়াটি বানালেও তাতে পূর্ণ সমর্থন ছিল চিনের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭ ০২:৪৭
Share:

ছবি: এএফপি।

তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জের কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারির ঠিক দু’দিনের মাথায় মুখ খুলল উত্তর কোরিয়ার সরকার। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি করা বিবৃতিতে তারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, রাষ্ট্রপুঞ্জ এ ভাবে তাদের উপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েও তাদের পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি বন্ধ করতে পারবে না।

Advertisement

গত শুক্রবার রাষ্ট্রপুঞ্জের ১৫ সদস্য দেশের নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মত ভাবে পাশ হয়েছিল পিয়ংইয়ংয়ের বিরুদ্ধে আনা নয়া নিষেধাজ্ঞা।
আমেরিকা খসড়াটি বানালেও তাতে পূর্ণ সমর্থন ছিল চিনের। ২৮ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন নয়া ‘আন্তমহার্দেশীয় ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’-এর পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করে আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে আমেরিকার মূল ভূখণ্ডে পরমাণু হামলা করার ক্ষমতা হাতে রয়েছে তাঁর। তার পরই ওয়াশিংটনের মদতে রাষ্ট্রপুঞ্জের সদস্য দেশগুলি উত্তর কোরিয়ার পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্যের জোগান সীমিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। বিদেশে কাজ করা উত্তর কোরীয় শ্রমিকদের ক্ষেত্রেও নতুন বিধি-নিষেধ আরোপিত হয়েছে।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিষেধাজ্ঞার পরেই পিয়ংইয়ং বিবৃতি দেয়, ‘‘আমেরিকা যদি ভেবে থাকে, রাষ্ট্রপুঞ্জকে হাতিয়ার করে আমাদের কাবু করতে পারবে, ভুল ভাবছে। কারণ এর পরে আমরা পরমাণু পরীক্ষা ছেড়ে দেব, এটা যেন কেউ স্বপ্নেও না ভাবে। রাষ্ট্রপুঞ্জের আনা এই নিষেধাজ্ঞা আমাদের সার্বভৌমত্বে আঘাত করেছে। এটা যুদ্ধপরাধের সমান। এর ফলে গোটা কোরীয় উপদ্বীপের স্থিতাবস্থা আর শান্তি বিঘ্নিত হবে।’’ পিয়ংইয়ংয়ের হুমকি, ‘‘যদি আমেরিকা নিজে সুরক্ষিত থাকতে চায়, তা হলে এই নীতি তাদের এখনই বর্জন করতে হবে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এই অবস্থায় পৌঁছেছি আমরা। এত সহজে আমরা আমাদের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করে ফেলব, এটা ভাবা মূর্খামি।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement