Effect of Trump-Zelensky Clash

মার্কিন রণতরীতে জ্বালানি নয়! জ়েলেনস্কির পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে বার্তা নরওয়ের কোম্পানির

ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির বাদানুবাদের পর ওই কোম্পানি সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে মার্কিন জাহাজে জ্বালানি দেওয়া বন্ধের কথা ঘোষণা করে। কোম্পানির বিবৃতিতে ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ১৬:৫২
Share:
Norwegian firm cuts US military fuel supply

(বাঁ দিকে) ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

এক ফোঁটাও জ্বালানি দেওয়া হবে না মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজগুলিতে! স্পষ্ট জানিয়ে দিল নরওয়ের অন্যতম বৃহৎ তেল এবং জাহাজ কোম্পানি। কেন তারা এমন সিদ্ধান্ত নিল তা-ও স্পষ্ট করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কির পাশে থেকেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘শিক্ষা’ দেওয়ার কথা বলেছে ওই কোম্পানি। নরওয়ের অন্য জ্বালানি প্রদানকারী কোম্পানিগুলিকেও একই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। অনেকের মতে, বাস্তবে যদি সত্যিই নরওয়ের কোম্পানিগুলি জ্বালানি সরবরাহ বন্ধের সিদ্ধান্তে এক মত হয়, তবে বিপদে পড়তে পারে আমেরিকা।

Advertisement

শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে ট্রাম্প এবং জ়েলেনস্কির প্রকাশ্য বিতণ্ডার ঘটনায় শোরগোল পড়েছে বিশ্ব জুড়ে। অনেক ইউরোপীয় নেতাই ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার সঙ্গে ইউরোপের যে সমস্ত দেশের বন্ধুত্ব রয়েছে, মূলত তাঁরাই জ়েলেনস্কিকে সমর্থন করেছেন। এমনকি, ব্রিটেন ইতিমধ্যেই ইউক্রেনকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়ার কথা জানিয়েছে। সেই আবহেই এ বার নরওয়ের হাল্টবাক বাঙ্কার্স নামে ওই জ্বালানি কোম্পানি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহ’ ঘোষণা করল।

ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির বাদানুবাদের পর ওই কোম্পানি সমাজমাধ্যমে দীর্ঘ বিবৃতি দিয়ে মার্কিন জাহাজে জ্বালানি দেওয়া বন্ধের কথা ঘোষণা করে। যদিও পরে ওই পোস্ট মুছে ফেলা হয়। কোম্পানির বিবৃতিতে ট্রাম্প-জ়েলেনস্কির বৈঠকের কথা উল্লেখ করেছিল। তাদের কথায়, ‘‘মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ভাইস প্রেসিডেন্টের ক্রমাগত আক্রমণের সামনেও নিজেকে সংযত রাখার জন্য ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের কৃতিত্ব প্রাপ্য।’’ তার পরই হাল্টবাক বাঙ্কার্স জানায়, তারা নরওয়ের আসা কোনও মার্কিন নৌবাহিনীর জাহাজকে জ্বালানি সরবরাহ করবে না। নরওয়ে এবং ইউরোপের অন্য জ্বালানি কোম্পানিগুলিকে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

Advertisement

অনেকের মতে, এই পদক্ষেপ মার্কিন সেনাবাহিনীর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে যদি ইউরোপের অন্য কোম্পানিগুলিও একই পদক্ষেপ নেয় তবে বিপদে পড়তে পারে আমেরিকা। কারণ জ্বালানির চাহিদা মেটাতে তাদের বাণিজ্যিক সরবরাহকারীদের উপর নির্ভর করতে হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement