নোয়া পোথোভেন। ছবি: ফেসবুকের সৌজন্যে।
(বুধবার আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা থেকে খবর পেয়ে এই খবরটি করেছিল দেশ, বিদেশের বহু সংবাদ মাধ্য়ম। করেছিলাম আমরাও। কিন্তু পরে জানা যায়, নেদারল্যান্ডসের ১৭ বছর বয়সী নোয়া পোথোভানের মৃত্যুর ঘটনাটি স্বেচ্ছামৃত্যুর ঘটনা নয়। আর তাঁর মৃত্যু কোনও সরকারি ক্লিনিকে হয়নি। হয়েছিল তাঁর বাড়িতেই। মানসিক অবসাদে তিন দীর্ঘ দিন ধরেই বাড়িতে কিছু খাচ্ছিলেন না। জলও খাচ্ছিলেন না। নেদারল্যান্ডসের ওই সরকারি ক্লিনিকের তরফেও বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাঁরা কোনও ভাবেই নোয়াকে সাহায্য করেনি তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্তটিকে কার্যকর করতে। নীচে দেওয়া রইল আমাদের গত কাল প্রকাশিত খবরটি।)
ধর্ষিত হয়েছিলেন, যখন তিনি একরত্তি শিশু। তার পর সেই দুঃসহ স্মৃতি নোয়া পোথোভানকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়িয়েছিল ১৭ বছর বয়সে তাঁর মৃত্যুর দিন পর্যন্ত। ডুবিয়ে দিয়েছিল গভীর অবসাদে।
আর পারলেন না নোয়া। শনিবার ইনস্টাগ্রামে জানালেন, "বড়জোর ১০ দিন। এর মধ্যেই আমি মরব।" পরের দিনই মৃত্যু হল নোয়ার। একটি সরকারি ক্লিনিকে। নেদারল্যান্ডস সরকারই নোয়াকে সাহায্য করল তাঁর স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্তকে কার্যকর করতে। ২০০১ সালের 'টার্মিনেশন অফ লাইফ অন রিকোয়েস্ট অ্যান্ড অ্যাসিস্টেড সুইসাইড অ্যাক্ট' অনুযায়ী যা বৈধ নেদারল্যান্ডসে। সরকারি চিকিৎসক লিখলেন, "মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছিলেন নোয়া।"
তার ঠিক আগের দিন, গত শনিবার, ১৭ বছর বয়সী নোয়া তাঁর নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে ডাচ ভাষায় করায় পোস্টে লিখেছিলেন, "বছরের পর বছর ধরে লড়াই করার পর আমি শেষ হয়ে গিয়েছি। কয়েক দিন ধরে আমি কিছুই খাচ্ছি না। জলও খাচ্ছি না। অনেক বার ভেবে দেখেছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। তার পর এটাই ঠিক হয়েছে, আমি স্বেচ্ছামৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারব। কারণ, যন্ত্রণা সহ্য করার ক্ষমতা আমি একেবারেই হারিয়ে ফেলেছি। সব শেষ হয়ে গিয়েছে আমার।"
আরও পড়ুন- ‘আমরা কথা রেখেছি, ইদ মুবারক’, পাক কর্তার ফোন ইন্ডিগোর দফতরে
আরও পড়ুন- কেরিয়ার নিয়ে অখুশি, নিষ্কৃতিমৃত্যুর আবেদন পুণের যুবকের
যে সরকারি ক্লিনিকে স্বেচ্ছামৃত্যু হয়েছে নোয়ার, তারা জানিয়েছে, নোয়া যখন স্বেচ্ছামৃত্যুর জন্য খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দিলেন, তাঁরা তাঁকে জোর করে খাওয়ানোর চেষ্টা করেননি।
নোয়ার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর জন্য সহানুভূতির ঝড় তো উঠেছেই, কেন নেদারল্যান্ডস সরকার তাঁকে স্বেচ্ছামৃত্যুর সিদ্ধান্ত থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করল না, তা নিয়েও সমালোচনায় খামতি থাকেনি।