পুলিশ আসার আগেই পালানোর চেষ্টা করেছিল আততায়ী। তারই ভিডিও-ছবি।
ভাবনায় তার আইএস। তবে ম্যানহাটনের ঘাতক ট্রাকের চালক সেফুল্লো হাবিবুলেভিক সাইপভ যে ‘লোন উল্ফ’ বা একক ঘাতক, তা এক কথায় মেনে নিয়েছে নিউ ইয়র্কের পুলিশ। কারণ, আইএস সম্পর্কে খোঁজখবর নিলেও সরাসরি কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে সোফুল্লোর যোগাযোগ ছিল, এমন কোনও তথ্য এখনও মেলেনি। অন্তত সরকারি ভাবে এমন কোনও তথ্য জানায়নি নিউ উয়র্ক পুলিশ।
তবে যে পুলিশ অফিসার সেফুল্লোকে গুলি করেছিলেন, সেই আঠাশ বছরের রায়ান ন্যাশের প্রশংসায় এখন পঞ্চমুখ গোটা নিউ ইয়র্ক। নিউ ইয়র্কের পুলিশ কমিশনার জেমস ও’নীল স্বীকার করে নিয়েছেন, রায়ান তখন নিজের জীবন বিপন্ন করে ওই ঘাতককে না আটকালে আরও অনেক বেশি প্রাণহানি হতে পারত।
ট্রাক থেকে নেমে দু’টো বন্দুক উঁচিয়ে যখন ‘আল্লাহু আকবর’ বলতে বলতে সে পালানোর চেষ্টা করে, ঠিক সেই সময়েই রায়ান গুলি করেন সেফুল্লোকে। অস্ত্রোপচারের আগে পুলিশ তাকে খানিকটা জেরাও করেছে। কিন্তু কী কী জানা গিয়েছে, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে পুলিশ।
সেফুল্লোর অতীত ঘেঁটে মার্কিন সংবাদমাধ্যমও তার জঙ্গি-যোগের কোনও হদিস দিতে পারেনি। জানা গিয়েছে, ওহায়োতে পা রেখে প্রথমেই বেকজোদ আবদুসামাতভ নামে এক যুবকের বা়ড়িতে থাকত সে। বিয়ে ওহায়োতেই। ২০১৩ সালের মার্চে। সে তখন ২৫। পাত্রী উজবেকিস্তানেরই বাসিন্দা, ১৯ বছরের নোজিমা ওদিলোভা। এর পরে খুব বেশি দিন ওহায়োতে থাকেনি সেফুল্লোরা। চলে যায় ফ্লরিডায়, তার পর নিউ জার্সি। পরে পাকাপাকি ভাবে নিউ জার্সির প্যাটারসনে থাকতে শুরু করে সে। সেখান থেকেই ট্রাক ভাড়া করে ম্যানহাটনে এসেছিল সোফুল্লো।
কিন্তু আপাত নিরীহ এই তরুণের মগজে কী ভাবে চাপল নাশকতার নেশা? জবাব হাতড়াচ্ছে আমেরিকার পুলিশ।