(বাঁ দিকে) নওয়াজ় শরিফ এবং বিলাবল ভুট্ট। —ফাইল চিত্র।
পাকিস্তানে জোট সরকার গঠন নিয়ে কথাবার্তা রবিবার থেকেই শুরু হয়েছিল। সোমবার নওয়াজ় শরিফের পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ় (পিএমএল-এল) এবং বিলাবল ভুট্টের পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)-র মধ্যে সেই আলোচনা আরও এক ধাপ এগোল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিতে চাইছে দুই দল। তিন বছরের জন্য প্রধানমন্ত্রী পদে বসতে পারেন পিএমএল-এনের প্রার্থী। বাকি দু’বছর প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন পিপিপি প্রার্থী।
রবিবারই বিলাবলের লাহোরের বাড়িতে গিয়েছিলেন নওয়াজ়ের ভাই তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। সেখানে ছিলেন পিপিপি সভাপতি আসিফ আলি জ়ারদারি। জোট করে সরকার গঠন নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকেই স্থির হয়েছে, দুই দলের প্রার্থী নিজেদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি করে নেবেন।
৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন হয়। ভোটে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সেই অভিযোগ অস্বীকার করল পাকিস্তান নির্বাচন কমিশন। জানাল, কিছু অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই খবর প্রকাশিত হয়েছে পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ। কমিশন বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ভোটের দিন বন্ধ ছিল মোবাইল পরিষেবা। সে কারণে, ডেটা ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়েন প্রিসাইডিং অফিসারেরা। নির্বাচনী নথি ট্রান্সফারেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে আধিকারিকদের।
পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির ২৬৪টি আসনে গণনা শেষ হয়ে গেলেও কোনও দলই একক ভাবে ‘জাদুসংখ্যা’ ছুঁতে পারেনি। সূত্রের খবর, ফলাফল ঘোষণার পরেই নওয়াজের তরফে বিলাবলকে জোট করে সরকার গঠনের জন্য ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পিএমএল-এন নেতার প্রস্তাব চিন্তাভাবনার স্তরে রয়েছে বলে জানানো হয় পিপিপি-র তরফে। মাঝে জল্পনা ছড়ায় যে, বিলাবলের পিতা জারদারির সঙ্গে বৈঠক হয়েছে নওয়াজ়ের। কিন্তু এই বৈঠকের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে দাবি করে জল্পনায় জল ঢালেন বিলাবল। তার পরেই রবিবার সন্ধ্যায় শাহবাজ়ের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিলাবল। সঙ্গে ছিলেন আসিফও।
নওয়াজ এবং বিলাবল যখন সরকার গঠন নিয়ে আলোচনা করছেন রবিবার, তখন রাস্তায় নামার সিদ্ধান্ত নেয় ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশনের দফতরগুলির সামনে বিক্ষোভ দেখান পিটিআই সমর্থকেরা। রাওয়ালপিন্ডি এবং লাহোরের পূর্ব প্রান্তের একাধিক জায়গায় পুলিশ এবং পিটিআই সমর্থকদের মধ্যে সংঘাতের খবর প্রকাশিত হয়েছে।