ফাইল চিত্র।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বারবারই জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করতে আগ্রহী ব্রিটেন। সেই সুরই উঠে এল আজ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বরিসের আলোচনায়। সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিষেধককে স্বীকৃতি দিয়েছে ব্রিটেন। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানান দু’দেশের শীর্ষ নেতাই। এর ফলে করোনার বিরুদ্ধে দুই দেশের যৌথ লড়াই আরও সমৃদ্ধ হবে এবং দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পরে ফের আন্তর্জাতিক পর্যটন শুরু হওয়ার পথ প্রশস্ত হল বলে মনে করছেন মোদী-জনসন।
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ও উঠে এসেছে আলোচ্য সূচিতে। দুই দেশই বিশ্ব উষ্ণায়নকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সঙ্কট একসঙ্গে মোকাবিলা করতে বদ্ধপরিকর দুই শীর্ষ নেতাই। রাষ্ট্রপুঞ্জের আসন্ন জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত বৈঠক ‘সিওপি ২৬’-এর আগে মোদী-জনসনের এই বিষয় নিয়ে আলোচনাকে গুরুত্ব দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মহল। জনসন জানিয়েছেন, পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশ্বে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে ভারত। তাঁর আশা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ শূন্যেও নিয়ে আসতে পারে ভারত।
দু’দেশের সম্পর্ক শক্তিশালী করতে ২০৩০ সাল পর্যন্ত যে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, সেই পরিকল্পনায় অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে ব্যবসা এবং প্রতিরক্ষাকে। আজ সেই বিষয়টিও উঠে এসেছে আলোচনায়।
চলতি বৈঠকে উঠে এসেছে আফগানিস্তান পরিস্থিতিও। সেখানে মানবাধিকার যাতে লঙ্ঘিত না হয়, সেই বিষয়ে তালিবানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্তরে বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে মনে করেন ভারত ও ব্রিটেনের দুই শীর্ষ নেতাই।