নোবেলজয়ী রাজনীতিবিদ আউং সান সু চি। ফাইল ছবি।
মায়ানমারে ক্ষমতার দখল আরও পোক্ত করতে বিশেষ চাল দিল সামরিক জুন্টা সরকার। নির্বাচনী বিধি না মানার দায়ে দেশের ৪০টি রাজনৈতিক দল ভেঙে দিল তারা। যার মধ্যে রয়েছে নোবেলজয়ী রাজনীতিবিদ আউং সান সু চির দল ‘দ্য ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি’ (এনএলডি)।
মঙ্গলবার সরকারি সংবাদমাধ্যমে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, সাধারণ নির্বাচনে অংশ নিতে ইচ্ছুক দলগুলিকে নথিভুক্তির জন্য দু’মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। ৬৩টি রাজনৈতিক দল নিজেদের নাম নথিভুক্ত করিয়েছে। বাকি ৪০টি দল, যারা নাম নথিভুক্ত করেনি, তাদের অস্তিত্ব নেই বলেই ধরে নেওয়া হবে। এই ৪০টি দলের তালিকা পেশ করেছে জুন্টা সরকার। এনএলডি ছাড়াও এনইউজি-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিরোধী দলের নাম রয়েছে তাতে।
২০১৫ এবং ২০২০— দু’বারই সামরিক সরকার সমর্থিত ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট পার্টি’ (ইউএসডিপি)কে হারিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে এনএলডি। কিন্তু নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ সামরিক অভ্যুত্থান ঘটায় জুন্টা। এনএলডিকে ক্ষমতাচ্যুত করে তার নেত্রী সু চির বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগ এনে তাঁকে পদচ্যুত ও জেলবন্দি করা হয়। ৩৩ বছর কারাদণ্ড হয় ৭৭ বছরের এই প্রবল জনপ্রিয় নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্ত নেত্রীর। বিদ্রোহে ফুঁসে ওঠে দেশও। সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল ও দেশের মানুষের একাংশ আন্দোলন শুরু করে। কড়া হাতে পরিস্থিতি দমন করতে শুরু করে জুন্টা সরকার। এমনকি, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিরোধী দলগুলির সদস্যদের উপরে অকথ্য অত্যাচার, গণহত্যার অভিযোগও ওঠে।
এতে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে সামরিক সরকার। পরিস্থিতি সামাল দিতে জানুয়ারি মাসে সাধারণ নির্বাচনের কথা ঘোষণা করে সরকার। জানায় অগস্ট মাসের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। তবে সেই পথ নিষ্কণ্টক করতে একাধিক কড়া নির্বাচনী বিধি চালু করে তারা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল, শর্ত মেনে দলের নাম এই নথিভুক্তি। যা না মানায় ৪০টি দল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সংবাদ সংস্থা