পাকিস্তানের নাথিয়া গলির সেই সেন্ট ম্যাথিউজ চার্চ। ইনসেটে ওয়াহিদ মুরাদ।
রবিবারের বিশেষ প্রার্থনা আর হয় না চার্চে। কারণ, পাকিস্তানের এই এলাকায় খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষজন আর বড় একটা নেই। তবু ১০০ বছর ধরে একটি চার্চের দেখভাল করে চলেছে পাকিস্তানের একটি মুসলিম পরিবার।
অ্যাবোটাবাদ জেলার পাহাড় ঘেষা ছোট্ট একটা গ্রাম নাথিয়া গলি। সেই নাথিয়া গলিতেই রয়েছে সেন্ট ম্যাথিউজ চার্চ। ইংরেজদের হাতে গড়া এই চার্চ কয়েক প্রজন্ম ধরে দেখভাল করে আসছেন ওই মুসলিম পরিবার।
বর্তমানে এই চার্চের কেয়ারটেকার ওয়াহিদ মুরাদ। ওয়াহিদ এই পরিবারের তৃতীয় প্রজন্ম যিনি চার্চের দেখাশোনা করেন। ওয়াহিদের আগে তাঁর বাবা ৪৫ বছর ধরে চার্চের দেখভাল করেছিলেন। তাঁর দাদু ৩৫ বছরেরও বেশি সময়ে ধরে চার্চের যত্ন নিয়েছেন। আর ওয়াহিদ ১৭ বছর ধরে এই চার্চের জন্যই নিবেদিত প্রাণ এক।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী মানুষজনের অভাবে পুরনো চার্চ বা নতুন চার্চ গঠনের জন্যও সে ভাবে টাকা খরচ করে না পাকিস্তান সরকার। স্থানীয় এক সংবাদ মাধ্যমকে ওয়াহিদ মুরাদ বলেছেন, ‘‘আমরা সব ভগবানকেই বিশ্বাস করি। সব ধর্মের পবিত্র বইগুলিও আমরা পড়ি। আমাদের মসজিদে যতটা সম্মান দিই তার থেকে বেশিই সম্মান দিই এই চার্চকে। তত বেশি যত্ন নিয়ে দেখাশোনা করি এই চার্চের।’’
আরও পড়ুন: ‘ভারতীয়রা এত গরীব যে আইফোনও কিনতে পারে না’, লিখে ট্রোলড বিদেশিনী
আরও পড়ুন: বয়স ভাঁড়িয়েছিলেন বিশ্বের প্রবীণতমা! বলছে গবেষণা
(সারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়েবাংলায় খবরপেতে চোখ রাখুন আমাদেরআন্তর্জাতিকবিভাগে।)