হিবাতুল্লা আখুন্দজাদা। ফাইল চিত্র।
হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার নেতৃত্বেই পরিচালিত হবে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদকে উদ্ধৃত করে এমনই দাবি করেছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম টোলো নিউজ।
তালিবান সরকার ঘোষণা হয়েছে এক দিন আগেই। মন্ত্রিসভা নিয়ে যে টানাপড়েন চলছিল তা কেটে গিয়েছে। মন্ত্রিসভায় কাদের কী দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাও ঘোষণা করেছে তালিবান। কার্যকারী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন হাসান আখুন্দজাদা, উপপ্রধানমন্ত্রী হয়েছেন মোল্লা আব্দুল গনি বরাদর। তালিবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা মহম্মদ ওমরের ছেলে মোল্লা ইয়াকুবকে দেওয়া হয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। অর্থ মন্ত্রকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোল্লা হেদয়াতুল্লা বদরি এবং সেনা প্রধান হয়েছেন ফাসিহুদ্দিন বাদাখশানি।
মন্ত্রিসভা ঘোষণা হয়ে গেলেও সরকারের নেতৃত্বে কে থাকবেন তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করছিল তালিবানের শীর্ষ নেতারা। সূত্রের খবর, যদিও প্রথম থেকেই পাল্লা ভারী ছিল হিবাতুল্লা আখুন্দজাদার। যদিও আনুষ্ঠানিক ভাবে এখনও সে বিষয়ে কোনও ঘোষণা করেনি তালিবান। তবে দাবি করা হচ্ছে, হিবাতুল্লাই সরকারের নেতৃত্বে থাকবেন।
৯০-এর দশকে তালিবান যখন আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসে তখন হিবাতুল্লাকে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। দেশের অপরাধ সংখ্যা কমানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০০১-এ আমেরিকা যখন তালিবানকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা থেকে,তখন আখুন্দজাদাকে তালিবানের পরিষদের প্রধান করা হয়। ২০১৫-য় তালিবান প্রধান মোল্লা মনসুর হিবাতুল্লাকে তাঁর সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করেন। ২০১৬-য় তালিবানের প্রধান নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন হিবাতুল্লা।
আফগানিস্তানে শরিয়তি আইন বলবৎকরার সিদ্ধান্ত তাঁরই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছিলেন, “আগামী দিনে আফগানিস্তানের সরকার থেকে আফগানিদের জীবন সব কিছু শরিয়তি আইন দ্বারা পরিচালিত হবে।”