লড়াইয়ে বিধ্বস্ত পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকা থেকে আসা ১ লক্ষ ২০ হাজার শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ওই রাষ্ট্রগোষ্ঠীর ২৮টি সদস্য দেশ মিলে শরণার্থীদের আশ্রয় দেবে বলে ব্রাসেলসে ইউরোপীয় অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীদের বৈঠকে স্থির হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে পূর্ব ইউরোপের চারটি দেশ। কিন্তু জার্মানি-সহ বড় দেশগুলির সমর্থনে প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়।
সিরিয়ার মতো দেশগুলি থেকে শরণার্থীর স্রোত আছড়ে পড়ার পর থেকেই তাঁদের আশ্রয় দেওয়া নিয়ে তীব্র মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়নে। আশ্রয় দেওয়ার প্রস্তাবকে গোড়া থেকেই জোর গলায় সমর্থন করে এসেছেন জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা মের্কেল। আবার গোড়া থেকেই চেক প্রজাতন্ত্র, স্লোভাকিয়া, রোমানিয়া ও হাঙ্গেরির মতো পূর্ব ইউরোপের সাবেক কমিউনিস্ট দেশগুলি এর বিরোধিতা করেছে। আজও এই দেশগুলির অভ্যন্তরীণ মন্ত্রীরা প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন। ভোটের পরে চেক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী মিলান শোভানেক টুইটারে বলেন, ‘‘আজ বৈঠকে দেখা গেল, সাধারণ জ্ঞানবুদ্ধি লোপ পেয়েছে।’’
এ দিকে সীমান্তে শরণার্থী প্রবেশ রুখতে আজ ফের সেনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাঙ্গেরি। জার্মানি অবশ্য দরজা খোলাই রেখেছে। কিন্তু তাতেও সিঁদুরে মেঘ দেখছে জার্মান গোয়েন্দা বিভাগ। পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠী এই শরণার্থীদেরই দলে টানতে পারে বলে আজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন গোয়েন্দা কর্তারা। শরণার্থীদের সঙ্গে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্যেরা দেশে ঢুকছে কি না, তা জানতে নজরদারি শুরু হয়েছে।