গণধর্ষণে লঘু সাজা, উত্তাল মাদ্রিদ 

মত্ত অবস্থায় থাকা ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত তাদের ১০-১২ বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করেছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মাদ্রিদ শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৪
Share:

প্রতিবাদ: কিশোরীর গণধর্ষণের বিচার চেয়ে মাদ্রিদের পথে। রয়টার্স

বিক্ষোভে ফুটছে স্পেন। যৌন অপরাধ সংক্রান্ত একটি মামলার রায় নিয়ে সব বয়সের মহিলা পথে নেমে প্রতিবাদে শামিল হচ্ছেন। কিছু দিন আগে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় এক কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। অভিযোগ, প্রশাসন নির্যাতিতার পাশে না দাঁড়িয়ে অপরাধীকে ছাড় দিচ্ছে।

Advertisement

মত্ত অবস্থায় থাকা ১৪ বছরের ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল পাঁচ ব্যক্তির বিরুদ্ধে। আদালত তাদের ১০-১২ বছর কারাদণ্ড ঘোষণা করেছিল। কারাদণ্ডের মেয়াদ নিয়ে কোনও আপত্তি ওঠেনি। আপত্তি ওঠে, ধর্ষণের পরিবর্তে তাদের লঘু অপরাধ অর্থাৎ যৌন হেনস্থার সাজা দেওয়ায়।

গত সপ্তাহে বার্সেলোনার একটি আদালত জানায়, ওই নির্যাতিতা মদ্যপান ও মাদক সেবন করেছিল বলে যৌন সম্পর্কে বাধা দেওয়া বা তাতে সায় দেওয়া, কোনওটাই করে উঠতে পারেনি। তাই অভিযুক্ত পাঁচ জন কোনও হিংসা, বলপ্রয়োগ ছাড়াই যৌন সংসর্গে লিপ্ত হতে পেরেছে। স্পেনের আইন অনুযায়ী, হিংসা বা বলপ্রয়োগ না হলে সেটিকে যৌন নিগ্রহের পর্যায়ে ফেলা যায় না।

Advertisement

২০১৬ সালের একটি ঘটনার কথা উঠেছে এ প্রসঙ্গে। সে বার ১৮ বছরের এক তরুণীকে পাঁচ জন গণধর্ষণ করে। সেখানেও বলপ্রয়োগ বা হিংসার চিহ্ন মেলেনি বলে ধর্ষণ নয়, যৌন হেনস্থাই বলেছিল আদালত। সেই রায় নিয়েও প্রতিবাদ হওয়ায় স্পেনের সুপ্রিম কোর্টে অপরাধীদের সাজার মেয়াদ বেড়েছিল। ন’বছরের কারাবাস গিয়ে দাঁড়ায় ১৫ বছরে। সুপ্রিম কোর্ট জানায়, মেয়েটিকে কোণঠাসা করে যৌন অপরাধ সংঘটিত হয়েছিল। সে সময়ে স্পেনের সরকার জানিয়েছিল, আইন পরিবর্তন করা হবে। কিন্তু তার পরেও কিছুই হয়নি, নতুন ঘটনাটিই তার প্রমাণ।

সোমবার থেকে যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে, তা ৪০টিরও বেশি শহরে ছড়িয়েছে। প্রতিবাদ ছুঁয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াকেও। মাদ্রিদে কয়েকশো মানুষ বিচার মন্ত্রকের গেটের সামনে জমায়েত করেন। তাঁদের হাতে ধরা ছিল প্ল্যাকার্ড যাতে লেখা, ‘আমরা তোমায় বিশ্বাস করি’, ‘এটা হেনস্থা নয়, ধর্ষণ’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement