Earthquake

ধ্বংসস্তূপে আটকে বহু, ঠান্ডায় মৃত্যুর আশঙ্কা

তিব্বতে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১২৭। নেপাল বা অন্য কোনও দেশে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যুর খবর মেলেনি। জখম অন্তত ১৮৮ জন।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:০১
Share:

ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। —ফাইল চিত্র।

তিব্বতে তীব্র ভূমিকম্পে এখনও চারশোর বেশি মানুষ ধ্বংসস্তূপের তলায় বন্দি হয়ে রয়েছেন বলে মনে করছেন উদ্ধারকারীরা। আজ চিনের প্রশাসন দাবি করেছে, সংখ্যাটা আরও বেশি হতে পারে। প্রবল ঠান্ডায় ঠিক কত জন মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের তলায় বন্দি হয়ে রয়েছেন, তা বলা মুশকিল। তিব্বতে মৃতের সংখ্যা এখনও পর্যন্ত ১২৭। নেপাল বা অন্য কোনও দেশে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যুর খবর মেলেনি। জখম অন্তত ১৮৮ জন।

Advertisement

আমেরিকার ভূতাত্ত্বিক সর্বক্ষণের মতে, রিখটার স্কেলে গতকালের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.১। চিনের মতে, সেটি ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্প। মাউন্ট এভারেস্ট থেকে মাত্র ৮০ কিলোমিটার দূরে তিংরি এলাকায়, ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে ছিল কম্পনের উৎসস্থল। ভূমিকম্পের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছোট-বড় আরও কয়েকশো ভূমিকম্প পরবর্তী-কম্পন টের পাওয়া গিয়েছে। ধ্বংসস্তূপের তলায় আটকে থাকা বাসিন্দাদের দ্রুত উদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এই সময়ে রাতের দিকে তিব্বতের উচ্চ অক্ষাংশীয় এলাকার তাপমাত্রা মাইনাস ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়। সেই প্রতিকূল আবহাওয়ায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছাড়া কেউ বড়জোর ৫-১০ ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে। ফলে সময় যত এগোবে আটকে পড়া মানুষদের মৃত্যুর আশঙ্কা তত বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

সরকারি সংবাদ মাধ্যমে দেখা গিয়েছে, সারি সারি নীল-সবুজ অস্থায়ী তাঁবুতে স্থানীয় মানুষদের উদ্ধার করে আনছে সেনাবাহিনী। গত কালের কম্পনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সাড়ে ৩ হাজারেরও বেশি বাড়ি। নেপাল-তিব্বতের সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি স্কুল বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। তবে তাতে হতাহতের খবর মেলেনি। জার্মানির এক পর্বতারোহী সেই সময়ে একাই এভারেস্টের দিকে এগোচ্ছিলেন। হোস্ট কোবুশ নামে ওই তরুণ জানিয়েছেন, তাঁবুর ভিতরে প্রবল কম্পন অনুভব করেন তিনি। বাইরে বেরিয়ে দেখন, পাহাড় থেকে বরফের ধস নামছে। যে সংগঠন তাঁর অভিযানের পৃষ্ঠপোষক, সেই সংগঠন সূত্রের খবর, হোস্ট আর এগোচ্ছেন না। বেস ক্যাম্প ছেড়ে তিনি নামচে বাজারের দিকে নামতে শুরু করেছেন।

Advertisement

ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিগাৎসে শহর। সেখান উদ্ধারকাজে নেমেছেন অন্তত ১৪ হাজার জন। শিগাৎসের শতাব্দী প্রাচীন তাশিলহুনপো বৌদ্ধমন্দিরটির ক্ষতি হয়নি। ১৪৪৭ সালে প্রথম দলাই লামার সময়ে এই প্রাচীন মন্দিরটি তৈরি করা হয়। ভারতের মাটি থেকে তিব্বতের পীড়িতদের প্রতি শোকবার্তা জানিয়েছেন বর্তমান দলাই লামা। দুঃখপ্রকাশ করেছেন রাশিয়া এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement