প্রতীকী ছবি।
মসজিদের প্রণামী বাক্স থেকে ৫০ হাজার টাকা ও ব্যাটারি চুরি করেই থামেনি চোর। চম্পট দেওয়ার আগে একটি চিঠি লিখে জানাল, এ বিষয়ে অন্য কারও নাক গলাবার প্রয়োজন নেই। কারণ, এটা আল্লা এবং তার একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়।
পাকিস্তানের দক্ষিণ পঞ্জাবের জামিয়া মসজিদ সাদিকুল মদিনার ঘটনা। শুক্রবার ওই চুরির পাশাপাশি চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মসজিদের দর্শনার্থীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, মসজিদের দু’টি প্রণামীর বাক্স উধাও। এমনকী, ইনভার্টারের একটি ব্যাটারিও নেই। দু’টি বাক্সে ছিল প্রায় ৫০ হাজার টাকা। এই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য শুরু হয়।
চিঠিতে লেখা রয়েছে, বিষয়টি আল্লা ও তার মধ্যেকার ব্যাপার। অন্য কারও এ নিয়ে মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই। সুতরাং, কেউ যেন তার খোঁজ না করেন। এখানেই শেষ নয়, আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত জানায়, সে খুবই গরিব। এর আগেও এক বার সাহায্য চাইতে জামিয়া মসজিদে এসেছিল। সে সময় তার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। তার অভিযোগ, মসজিদের মৌলবির কাছে সাহায্য চাইলে তাকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবং মসজিদে এসে সাহায্য না পেয়ে বাধ্য হয়েই এখানে চুরি করেছে সে।
আরও পড়ুন: হোমওয়ার্কে ছাত্রছাত্রীদের সুইসাইড নোট লিখতে দিলেন শিক্ষক!
নিজেকে বাঁচাতে অভিযুক্ত আরও জানিয়েছে, সে কারও বাড়িতে চুরি করেনি। আল্লা-র বাড়িতে চুরি করেছেন। তাই বিষয়টি দু’জনের মধ্যেকার। চিঠিটি পড়ে হতবাক স্থানীয়রা। অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য মসজিদের মৌলবির কাছে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তবে মসজিদের মৌলবি অনড়। অভিযুক্তকে গ্রেফতার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর কাছ থেকে অভিযুক্তের সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি মৌলবী।
এ রকম ঘটনা পাকিস্তানে নতুন নয়। গত বছর রমজানের সময় পাকিস্তানের জাহানাইনে প্রায় এমন ঘটনা ঘটেছিল। সে সময় হাসমাইন করিমাইন মসজিদ থেকে কলের ট্যাপ চুরি করে একই কায়দায় চিঠি লিখে রেখে গিয়েছিল অভিযুক্ত। চুরির সাফাই দিতে গিয়ে অভিযুক্ত জানিয়েছিল, তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। হাল ফিরলে সে ওই অর্থ ফিরিয়ে দেবে।