এই বিমানে চেপেই কেরামতি করেছিলেন জেকব। ছবি: ইউটিউব।
বিপদ আছে জেনেও শুধুমাত্র সমাজমাধ্যমে ‘ভিউ’ পাওয়ার নেশায় অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফেলেন। কখনও কখনও সেই ঝুঁকি মৃত্যুর কারণও হয়ে দাঁড়ায়। সম্প্রতি ইউটিউব ভ্লগার, বাইক রাইডার অগস্ত্য চৌহানের ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটেছে। ৩০০ কিলোমিটার বেগে বাইক চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কিন্তু তার পরেও অনেকে একই কাজ করে চলেছেন। নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ‘স্টান্ট’ করছেন।
তেমনই একটি ‘স্টান্টের’ ভিডিয়ো সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এই কেরামতি রাস্তায় নয়, শূন্যে। বিমান নিয়ে ‘স্টান্ট’ করতে গিয়ে শেষমেশ গ্রেফতার হলেন ট্রেভর জেকব নামে এক ব্যক্তি। শুধু তাই-ই নয়, ২০ বছরের জেলের সাজাও দেওয়া হয়েছে তাঁকে। দ্য ইনডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আমেরিকার ফেডেরেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএফএ) জেকভের পাইলট লাইসেন্সও বাতিল করে দিয়েছে। তাদের যুক্তি, ইচ্ছাকৃত ভাবেই বিমান ‘ক্র্যাশ’ করিয়েছেন জেকব। শুধু তাই-ই নয়, এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি, বিমানের ইঞ্জিন ইচ্ছাকৃত ভাবে বন্ধ করে দিয়েছিলেন, এমনকি সঠিক জায়গায় বিমান অবতরণ করাননি।
নিজের ‘সিঙ্গল প্রপেলার’ বিমান নিয়ে উড়েছিলেন জেকব। কয়েক হাজার ফুট উচ্চতায় ওঠার পর তিনি বিমানের ইঞ্জিন বন্ধ করে দেন। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ডিংও করেন। তিনি বলেন, “এ বার বিমানটিকে ‘ক্র্যাশ’ করাব।” তার পরই চলন্ত অবস্থায় বিমানের দরজা খুলে শূন্য ঝাঁপ দেন। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো রেকর্ড করছিলেন। বিমানটি চক্কর কাটতে কাটকে পাহাড়ের উপর গিয়ে পড়ে। জেকবও প্যারাশুট নিয়ে ওই জায়গায় নামেন। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ ভাবে ‘স্টান্ট’ করে ইউটিউবে ‘ভিউ’ পাওয়ার জন্য সেই ভিডিয়ো আপলোড করেন। ভিডিয়োটি এফএফএ-র হাতে পৌঁছলে তারা জেকবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে।