—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
পর্যটক টানতে ‘ভারত-বিরোধিতা’য় লাগাম পরানোর ইঙ্গিত দিল মলদ্বীপ। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েনের আবহে পর্যটক সংখ্যা হুহু করে কমছিল ভারত মহাসাগরের এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দর্শকদের ফিরিয়ে এনে লক্ষ্মীলাভ করতে ফের নয়াদিল্লির শরণাপন্ন হল তারা। সে দেশের একটি অগ্রণী পর্যটন গোষ্ঠী ভারতের বিভিন্ন শহরে রোড-শো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ভারতীয় পর্যটকদের সংখ্যা ক্রমশ কমতে থাকায় মলদ্বীপের ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সম্প্রতি বৈঠকে বসে ‘মলদ্বীপ অ্যাসোসিয়েশন অফ ট্রাভেল এজেন্টস অ্যান্ড ট্যুর অপারেটর্স’ বা ‘মাটাটো’। এ বার মলদ্বীপ নিয়ে ভারতীয় পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে দেশের বড় শহরগুলিতে রোড-শো করতে চলেছে ওই পর্যটন গোষ্ঠীটি।
মলদ্বীপের পর্যটন দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পর্যন্ত সে দেশে ৬ লক্ষ ৬৩ হাজার ২২৯ জন পর্যটক এসেছে। পর্যটক আসার নিরিখে শীর্ষস্থানে রয়েছে চিন, যে দেশের সঙ্গে মলদ্বীপের বর্তমান সরকারের নিবিড় সম্পর্কের কথা বার বার আলোচনায় উঠে আসছে। তার পরেই রয়েছে যথাক্রমে ব্রিটেন, রাশিয়া, ইটালি, জার্মানি এবং ভারত।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছেন মুইজ্জু। তিনি ‘ভারত-বিরোধী’ এবং ‘চিন-ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে পরিচিত। তাঁর ক্ষমতালাভের পরেই ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর লক্ষদ্বীপ সফরের সময়ে তাঁর উদ্দেশে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ উঠেছিল মলদ্বীপের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। সে সময়ে সমাজমাধ্যমে ভারতের ব্যবহারকারীরা মলদ্বীপ বয়কটের ডাক দিয়েছিলেন। অনেকে মলদ্বীপে যাওয়ার টিকিটও বাতিল করে দেন। তার মাঝে মুইজ্জু মলদ্বীপের মাটি থেকে ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতে বলেন। সব মিলিয়ে মুইজ্জুর আমলে ভারতের সঙ্গে এই পড়শি দ্বীপরাষ্ট্রের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে।