—প্রতীকী ছবি।
চিনের যে গুপ্তচর জাহাজ মলদ্বীপে ঘাঁটি গাড়তে চলেছে সেটি কোনও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাবে না বলে জানাল মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রক। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ নামে ওই জাহাজটি ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চিন সাগর থেকে মলাক্কা প্রণালী পেরিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা এবং সুমাত্রা দ্বীপপুঞ্জের মধ্যবর্তী সুন্দা প্রণালীতে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, চিনা জাহাজ ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’ মলদ্বীপের জলে কোনও রকম সমীক্ষা চালাবে না। শুধু মাত্র কর্মী পরিবর্তন এবং জরুরি সামগ্রী মজুত করার জন্য মলদ্বীপে নোঙর করবে জাহাজটি। চিন সরকারের তরফ থেকে এই বিষয়ে আশ্বাসও মিলেছে বলে দাবি করেছে মলদ্বীপের বিদেশমন্ত্রক। ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চিনা জাহাজের উপস্থিতি নিয়ে ভারতের নিয়মিত উদ্বেগের প্রকাশের পরেই এই বিবৃতি দিল সে দেশের সরকার।
গত কয়েক বছরে চিনা নজরদার জাহাজ ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’, ‘হাই ইয়াং ২৪ হাও’ এবং ‘শি ইয়ান ৬’ ভারতের প্রতিবেশী আর এক দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে সাময়িক ঘাঁটি গেড়েছিল। যা নিয়ে নয়াদিল্লি-কলম্বো দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘স্নায়ুযুদ্ধ’ শুরু হয় বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর। ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’-এরও হাম্বানটোটায় নোঙর করার কথা ছিল। কিন্তু ভারতের আপত্তিকে মর্যাদা দিয়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিঙ্ঘের সরকার চিনা চর জাহাজকে সে দেশে ভিড়তে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সরকারি ভাবে বেজিং অবশ্য চর জাহাজের অস্তিত্বই স্বীকার করেনি। চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সরকারের দাবি, আগামী ৫ জানুয়ারি থেকে মে মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ভারত মহাসাগরে ‘গভীর সমুদ্র সংক্রান্ত গবেষণা’র কাজে যুক্ত থাকবে ‘শিয়াং ইয়াং হং-৩’।