মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু। —ফাইল চিত্র।
ভারতের সঙ্গে আরও এক সম্পর্ক ছিন্ন করল মলদ্বীপ। প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুইজ্জু জানিয়ে দিলেন, জল সংক্রান্ত একটি চুক্তি আর পুনর্নবীকরণ করা হবে না। জলে মলদ্বীপ একাই নজরদারি চালাবে।
মুইজ্জু জানিয়েছেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভের জন্য ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের যে চুক্তি রয়েছে, তা আর নতুন করে স্বাক্ষর করা হবে না। ফলে ওই চুক্তি অনুযায়ী, ভারতের কাছ থেকে পাওয়া যন্ত্রপাতি এবং সুযোগসুবিধাও আর তারা গ্রহণ করবে না। বরং মলদ্বীপ এ ক্ষেত্রে স্বাবলম্বী হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন মুইজ্জু।
মলদ্বীপের প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, তাঁদের দেশের চারপাশের সমুদ্রে মলদ্বীপ সরকার একাই নজরদারি চালাবে। মলদ্বীপের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জ়োন (ইইজ়েড) এ বার থেকে তারাই নিয়ন্ত্রণ করবে। ওই এলাকায় সাত দিন ২৪ ঘণ্টা নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তি হয়েছে মলদ্বীপের। দ্বীপরাষ্ট্রটির সঙ্গে প্রতিরক্ষায় সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে চিন। ওই চুক্তি অনুযায়ী, মলদ্বীপে বিনামূল্যে সামরিক সহযোগিতা পাঠাবে বেজিং। তাতে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। এর পরেই ভারতের সঙ্গে জল সংক্রান্ত চুক্তিটি বাতিল করার কথা জানালেন মুইজ্জু।
গত নভেম্বরে মুইজ্জু মলদ্বীপের ক্ষমতায় এসেছেন। তিনি চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। নির্বাচনী প্রচারেও ভারত বিরোধী নীতি তাঁর অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছিল। ক্ষমতায় আসার পর চিন সফরও সেরে ফেলেছেন মুইজ্জু। ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের সম্পর্কের অবনতি হয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর লক্ষদ্বীপ সফর নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে মুইজ্জু সরকারের তিন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যার জেরে সমাজমাধ্যমে ‘বয়কট মলদ্বীপ’ ডাক দেওয়া হয়েছিল। মলদ্বীপ থেকে এর পর ভারতকে সেনা সরিয়ে নিতেও বলেন মুইজ্জু। এ বার চুক্তি বাতিলের কথাও জানিয়ে দিলেন তিনি।