কাশ্মীর প্রসঙ্গে মুখ খুললেন মালালা। ফাইল চিত্র
জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার এবং কাশ্মীরের বর্তমানপরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই।বৃহস্পতিবার কাশ্মীরের শিশুদের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিদূত মালালা। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবেদন রাখলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে যেন কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পথে হাঁটে ভারত।
কাশ্মীরের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে লিখতে গিয়ে মালালা ফিরে যান শৈশব স্মৃতিতে। নিজের টুইেটে তিনি লেখেন, ‘আামার শৈশব কেটেছে এই অশান্তি দেখেই। শুধু আমারই নয়, সাত দশক ধরে কাশ্মীরের ছেলে মেয়েরা হিংসার মধ্যেই বড় হয়েছে। কাশ্মীর এই উপত্যকা ১৮ লক্ষ মানুষের মতো আমাদেরও ঘরবাড়ি। আমরা এখানে শান্তিপূর্ণ ভাবে বাঁচতে চাই।’
আরও পড়ুন: ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিরুদ্ধে দ্রুত শুনানির আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
আরও পড়ুন: ‘পয়সার লোভ দেখিয়ে লোক হাজির করা যায়’, ডোভালকে তোপ গুলাম নবির
২০১২ সালে বিবিসির ব্লগে ধারাবাহিক ভাবে মেয়েদের শিক্ষার অধিকার নিয়ে সওয়াল করায় সোয়াট উপত্যকায় তালিবান জঙ্গিদের আক্রমণের শিকার হয় মালালা। মালালার মাথায় তিনটি গুলি ছুঁড়েছিল তারা। তখন তাঁর বয়েস মাত্র ১৫। লম্বা লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে তাঁর জীবন ফেরত পাওয়ার লড়াইয়ের গল্প সারা পৃথিবীজানে। আর মালালা সবচেয়ে ভাল জানেন, হিংসা কী ভাবে শৈশব-কৈশোর নষ্ট করে দেয়। তাই উপত্যকার উত্তেজনা নিয়ে তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, যতই মতানৈক্য থাকুক, শান্তিপূর্ণ ভাবে সাত দশকের এই সমস্যা মেটাতে হবে শিশুদের স্বার্থে।
দেখুন টুইট:
ভারত সরকারের জম্মু কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদের সিদ্ধান্তে খুশি নয় মালালার জন্মভূমি পাকিস্তান। বুধবারই কেন্দ্রীয় সরকারের এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করে ইসলামাবাদে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছে পাকিস্তান। স্থগিত রাখা হয়েছে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য। এই অবস্থায় মালালা চান, দক্ষিণ এশিয়ার আন্তর্জাতিক মঞ্চগুলি একজোট হয়ে মানবাধিকার ও শিশু নিরাপত্তার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখে। বিনা রক্তপাতে কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের পক্ষেই সওয়াল করছেন মালালা।