তালিবানি সন্ত্রাস। ছবি: রয়টার্স।
যে কোনও মুহূর্তে তাঁদের উপর তালিবানি খাঁড়া নেমে আসতে পারে। আফগান ভূমি তালিবানের দখলে চলে যাওয়ার পর থেকে তাই আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন সে দেশের সমকামী সম্প্রদায়ের মানুষজন।
শরিয়তি আইনে সমকামকে অনৈতিক এবং ঘৃণ্য বলে মনে করা হয়। যে ভাবে মহিলাদের উপর তালিবানি ফতোয়া নেমে এসেছে, খুব শীঘ্রই যে তাঁরা তালিবানের শিকার হতে চলেছেন সেই আশঙ্কাই প্রকাশ করেছেন সমকামীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সমকামীর কথায়, “কী ভাবে মানুষের উপর তালিবান অত্যাচার চালায় তার ভয়ানক অভিজ্ঞতা রয়েছে। আমি যে সমকামী সেটা কাউকেই জানাইনি। কারণ, এই খবরটা ছড়িয়ে পড়লেই তালিবানের কাছে পৌঁছবে। আর তার পরই আমার উপর নেমে আসবে মৃত্যুদণ্ডের খাঁড়া।”
একই সুর শোনা গিয়েছে বছর একুশের এক যুবকের কথায়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, তাঁর মা-বাবাও জানেন না যে তাঁদের ছেলে সমকামী। যদি তাঁরা জানতেন তা হলে এত দিনে জেলের ঘানি টানতে হত। ওই যুবকের কথায়, “কিন্তু এখন পরিস্থিতি আরও ভয়ানক। আগের পরিস্থিতি থাকলে হয়তো জেলবন্দি থাকতাম। কিন্তু এখন তালিবান রাজ চলছে। তারা যদি জানতে পারে আমি সমকামী, তা হলে মৃত্যু অনিবার্য।”
এই দুই সমকামীর মতোই বাকিরা তালিবানের রক্তচক্ষু থেকে নিজেদের আড়াল করে রাখার চেষ্টা করছেন। তাঁদের আশঙ্কা মহিলাদের উপর যদি এত কঠোর নিষেধাজ্ঞা নেমে আসতে পারে তা হলে শরিয়তি আইনের চোখে ‘ঘৃণ্য’ সমকামীদের কী পরিণতি হতে পারে তা ভেবেই আত্মগোপনের পথ খুঁজছেন অনেকেই। হয়তো এ বার সমকামীদের খুঁজে খুঁজে তালিকা তৈরি করে মৃত্যুদণ্ডের ব্যবস্থা করবে তালিবান, এমনটাই বলছেন আফগানিস্তানের সমকামীরা।