হাফিজ সইদ। ফাইল চিত্র।
মুক্তি পাচ্ছে ২৬/১১ মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ। প্রবল আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে লস্কর-ই-তৈবার শীর্ষনেতা হাফিজ সইদকে লাহৌরে তার নিজের বাড়িতেই বন্দি করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু বুধবার পাকিস্তানের আদালত জানিয়েছে, নতুন কোনও অভিযোগ যদি হাফিজের বিরুদ্ধে না থাকে, তা হলে তাকে আর গৃহবন্দি রাখা যাবে না। খবর পিটিআই সূত্রের।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি হাফিজ সইদকে গৃহবন্দি করে পাকিস্তান। প্রথমে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে তিন মাসের জন্য তাকে গৃহবন্দি করা হয়েছিল। পরে জননিরাপত্তা আইন প্রয়োগ করে দু’দফায় সইদের গৃহবন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সেই মেয়াদও প্রায় শেষ। তাই পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের সরকার লাহৌর হাইকোর্টের বিচারপতিদের নিয়ে গঠিত বিচারবিভাগীয় বোর্ডের দ্বারস্থ হয়েছিল। আরও তিন মাসের জন্য হাফিজ সইদের বন্দিত্বের মেয়াদ বাড়ানোর আর্জি জানানো হয়েছিল। কিন্তু বিচারপতিরা প্রাদেশিক সরকারের আর্জি এ দিন খারিজ করে দিয়েছে। যে সব অভিযোগে হাফিজ সইদকে বন্দি করা হয়েছে, তার স্বপক্ষে পর্যাপ্ত তথ্য-প্রমাণ নেই বলে বিচারবিভাগীয় বোর্ড জানিয়েছে। পাক সংবাদপত্র ডন সূত্রে এই খবর পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: জামাত নেতা আজিজ মিয়া-সহ ছ’জনের মৃত্যুদণ্ড
আরও পড়ুন: বিরাট সাফল্য! প্রতিপক্ষের দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে সুখোই থেকে ব্রহ্মস ছুড়ল ভারত
পঞ্জাবের স্বরাষ্ট্র দফতর হাফিজের মু্ক্তির বিরোধিতা করেছে বলে খবর। হাফিজ সইদকে এখন মুক্তি দিলে আন্তর্জাতিক মহলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিক্রিয়া হতে পারে বলে স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে লাহৌর হাইকোর্টের বিচারবিভাগীয় বোর্ডকে জানানো হয়। কিন্তু বিচারপতিরা সে যুক্তি মানতে রাজি হননি।
পাক সরকার যদি দু’এক দিনের মধ্যে নতুন কোনও অভিযোগে হাফিজকে ফের গৃহবন্দি না করে, তা হলে লস্কর প্রধানের মুক্তি প্রায় নিশ্চিত।