কখনও টিমের জন্য গলা ফাটাচ্ছেন, কখনও ফুটবলারদের সঙ্গে মেতে উঠছেন উদ্দাম সেলিব্রেশনে। দেখে কে বলবে তিনিই ছোট্ট দেশটার প্রথম নাগরিক।
প্রেসিডেন্ট কোলিন্ডা গ্রাবার কিটারোভিচ। পাপারাৎজিরা কেন তাঁর পিছু ছাড়ে না? তিনি নাকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গেও খুনসুটি করতে ছাড়েন না! ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্টের সম্বন্ধে এই তথ্যগুলো জানেন?
র্যকিটিচ, মানজুকিচদের ফুটবল স্কিলে যখম সম্মোহিত ক্রীড়া দুনিয়া, তখন ক্রোটদের সুন্দরী প্রেসিডেন্টের প্রাণোচ্ছলতায় মজেছে নেট দুনিয়া। বিশ্বের অনেক রাষ্ট্রপ্রধানকে ঘিরে যখন নিরাপত্তার বাড়বাড়ন্ত, তখন তিনি প্রেসিডেনশিয়াল প্রোটোকলের বালাই করেন না। সেলিব্রেট করতে কখনও ঢুকে পড়েন খেলোয়াড়দের ড্রেসিং রুমে, কখনও উঠে পড়েন প্লেনের ইকোনমি ক্লাসে।
১৯৯৬ সালে বিয়ে করেন কোলিন্ডা। এখন তিনি দুই সন্তানের মা। তাঁর বড় মেয়ে ক্যাটারিনা একজন প্রফেশনাল স্কেটার। জাতীয় পর্যায়ে ক্রোয়েশিয়ার জুনিয়ার চ্যাম্পিয়নও বটে।
ক্রোয়েশিয়ার কনিষ্ঠতম প্রেসিডেন্ট তিনি। বয়স ৫০ বছর। ২০১৫ সালে ক্রোয়েশিয়ার চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি শপথগ্রহণ করেন। তার আগে ছিলেন ন্যাটো-র গুরুত্বপূর্ণ পদে।
প্রায় দু-দশকের কেরিয়ারে সামলেছেন নানা কূটনৈতিক পদ, কাজের সুবিধার্থেই শিখেছেন বহু ভাষা। মোট ৮টি ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি।
প্রতি বছরই কোনও না কোনও কারণে মিডিয়ার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন কোলিন্ডা কিটারোভিচ। গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্টের পোল্যান্ড সফরের সময়, তিনি ও ট্রাম্প একাধিকবার একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হন। সেখানে ক্রোট প্রেসিডেন্টের চাহুনি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ভালমতো চর্চাও হয়। কোলিন্ডা অবশ্য বরাবরের মতো এসব নিয়ে চুপই থেকেছেন।
বছর দুয়েক আগে একটি বিকিনি পরা ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়। ছবিটি তাঁর বলেই প্রচার করা হয়েছিল। অবশ্য পরে দেখা যায় ছবিটি তার নয়। কোকো অস্টিন নামে এক মার্কিন মডেলের ছবিকেই তাঁর ছবি বলে ভুল করছিল জনতা।