রাস্তায় পড়ে রয়েছে সন্দেহভাজনের দেহ।
গত নভেম্বরেই প্যারিসে বিভিন্ন স্থানে আত্মঘাতী হামলা চালায় আইএস জঙ্গিরা। সেই হামলায় মৃত্যু হয় শতাধিক মানুষের। মাস দুইও কাটল না ফের জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত হল বিশ্বের সাংস্কৃতিক রাজধানী প্যারিস। বৃহস্পতিবার সকালে প্যারিসের একটি থানায় ছুরি হাতে নিয়ে জোর করে ঢোকার চেষ্টা করে এক ব্যক্তি। তার জেরেই হুলুস্থুল বাঁধে উত্তর শহরতলী বার্বের কাছে ওই থানায়। পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয় ওই সন্দেহভাজনের।
ঘটনাচক্রে এ দিন ছিল সাপ্তাহিক ব্যঙ্গ পত্রিকা শার্লি এবদোর উপর সন্ত্রাসবাদী হামলার বর্যপুর্তি। গত বছর এ দিনেই শার্লি এবদোর দফতরে হামলা চালায় দু’জন জঙ্গি। জঙ্গিদের গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গিয়েছিলেন শার্লি এবদোর কর্ণধার শার্বনেয়ার, চার ব্যঙ্গচিত্রশিল্পী কাবু, উয়োলিনস্কি, শার্ব এবং তিনু।
চলছে পুলিশি টহলদারি
ফরাসি পুলিশের দাবি, তখন টিভিতে সবে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওল্যাঁ শার্লির এবদোর ঘটনার বর্ষপুর্তিতে নিজের বক্তব্য শেষ করেছেন। গুত দ্যর এলাকার ওই থানাটিতে পুলিশের আধিকারিকরা সকলেই যে যাঁর কাজে ব্যস্ত। এমন সময় সেখানে আসে ওই ব্যক্তি। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের মুখপাত্র পিয়ের অঁরি ব্রাঁদে জানান, ওই ব্যক্তির গায়ে আত্মঘাতী জঙ্গিদের মতো জ্যাকেট ছিল। জ্যাকেটের পকেট থেকে বৈদ্যুতিন তারও বেরিয়ে ছিল। হাতে ছুরি ধরা ছিল ওই ব্যক্তির। মুখে ধর্মীয় স্লোগান দিতে দিতে জোর করে সে ঢুকতে যায় থানায়। তাকে থামতে বলেন পুলিশ আধিকারিকরা। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব স্কোয়াডও। ফরাসি পুলিশের দাবি, বাধা দিতে গেলে নিরাপত্তারক্ষীদের দিকেই ছুরি নিয়ে তেড়ে আসে সে। জ্যাকেটের মধ্যে লুকনো বোমা থাকতে পারে বলে সন্দেহ হয় নিরাপত্তারক্ষীদের। সন্ত্রাস হামলার আশঙ্কায় গত তিন দিন ধরে ফ্রান্সে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। তাই কোনও ধরনের ঝুঁকি নিতে চায়নি ফরাসি পুলিশ। বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে যাতে ওই ব্যক্তি নিজেকে উড়িয়ে না পারে, তার আগেই ওই সন্দেহভাজনকে গুলি করে মারে ফরাসি পুলিশ।
এএফপির তোলা ছবি।
এই সংক্রান্ত আরও খবর...
• সন্ত্রাসের বর্ষপূর্তিতেও ব্যঙ্গ শার্লি এবদোর
• ভয়াল সন্ত্রাসে রক্তাক্ত প্যারিস, হত অন্তত ১২০