কিম জং উন— ফাইল চিত্র।
করোনা আবহের অজুহাতে চিনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে রাশ টেনেছে উত্তর কোরিয়া। আমেরিকার সংবাদমাধ্যমের দাবি, উত্তর কোরিয়ার একনায়ক কিম জং উন চিনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্ন করার পথে হাঁটতে চলেছেন।
চিন থেকে পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় ইতিমধ্যেই উন সে দেশের শুল্ক দফতরের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্তাকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। গত অক্টোবরে চিনা পণ্যের আমদানি ৯৯ শতাংশ কমিয়ে দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
উনের বাবা তথা উত্তর কোরিয়ার প্রয়াত কমিউনিস্ট একনায়ক কিম জং ইলের সময় থেকেই সে দেশে চিনা পণ্যের অবাধ আমদানি শুরু হয়েছিল। উনের জমানায় চিনের প্রতি বাণিজ্য নির্ভরতা আরও বাড়ে। বর্তমানে চিনই উত্তর কোরিয়ার বৃহত্তম বাণিজ্য সহযোগী। শুধু আর্থিক বা বাণিজ্যিক সহযোগিতা নয়, কূটনৈতিক এবং সামরিক ক্ষেত্রেও উত্তর কোরিয়ার স্বৈরতন্ত্রকে বরাবরই মদত দিয়ে এসেছে একদলীয় চিনের শাসক কমিউনিস্ট পার্টি।
আরও পডুন: খোশমেজাজে খোল বাজালেন শুভেন্দু, নন্দীগ্রামে বোঝালেন হরিনামের মাহাত্ম্য
২০১৭ সালে পরমাণু কর্মসূচির জেরে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা জারির আগে উত্তর কোরিয়ার আমদানি করা ৯০ শতাংশ পণ্যই চিন থেকে আসত। কিন্তু চলতি বছরের গোড়া থেকেই বাণিজ্য সম্পর্কে ভাটা পড়ে। অক্টোবরে মাত্র ২ লক্ষ ৫৩ হাজার ডলারের (প্রায় ১ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা) পণ্য রফতানি করেছিল চিন। এশিয়া, ইউরোপ আফ্রিকার অনেক ছোট দেশের সঙ্গেও এর চেয়ে অনেক বেশি টাকার ব্যবসা করে চিন।
আরও পডুন: গুরুত্বপূর্ণ পদে মহিলারাই পছন্দ বাইডেনের, বাজেট বিভাগের দায়িত্বে প্রথম কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত
উত্তর কোরিয়ায় একটি গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে মার্কিন সংবাদমাধ্যমের দাবি, উহানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনার পরেই বেজিংয়ের উপর বিশ্বাস হারান উন। চিন ফেরত কয়েকজন কোভিড-১৯ সংক্রমণের শিকার হওয়ার পরে যোগাযোগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন তিনি। কারণ উনের ধারণা, করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উত্তর কোরিয়াকে সময় মতো সতর্ক করেনি চিন। আগামী জানুয়ারিতে পিয়ংইয়ং-এ শাসকদল ওয়ার্কার্স পার্টির অধিবেশন। সেখানে উন চিনের বিরুদ্ধে আরও কিছু কড়া পদক্ষেপ ঘোষণা করতে পারেন বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। সে ক্ষেত্রে বাইডেনের জমানায় নতুন মোড় নিতে পারে আমেরিকা-উত্তর কোরিয়া সম্পর্ক।