ভেঙে পড়া ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমান থেকে উদ্ধার করা দেহের সারি, সোমবার পোখরায়। ছবি: পিটিআই।
সমাজমাধ্যমে ইয়েতি উড়ান সংস্থার বিমান থেকে শেষ মুহূর্তে পাঠানো ভিডিয়ো নিয়ে বিতর্ক অব্যাহত। বিমান বিশেষজ্ঞদের মতে, সংশ্লিষ্ট যাত্রী নিয়ম ভেঙে ফেসবুক লাইভ করেছিলেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, হঠাৎই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠল বিমানে। শোনা গেল যাত্রীদের আর্তনাদ। এক বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘এখনও সমস্ত দেহই উদ্ধার হয়নি। ফলে মোবাইল উদ্ধার করে সেখান থেকে ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’’
বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক উড়ানে নেট পরিষেবা পাওয়া যায়। কোথায় বিনা পয়সায়। কোথাও তা কিনতে হয়। কিন্তু, অভ্যন্তরীণ উড়ানেসেই পরিষেবা খুব কম দেশেই মেলে। ভারতে যেমন তা মেলে না। তাই দেশীয় উড়ানে যাত্রীদের মোবাইল হয় বন্ধ করে নয়তো ফ্লাইট মোডেরাখতে হয়। বিশেষজ্ঞদের কথায়, নেপালের কাঠমান্ডু থেকে পোখরার আধ ঘণ্টার উড়ানে নেট সংযোগের সুবিধা ছিল, এমনটা প্রায় অসম্ভব। তা হলে? এক বিশেষজ্ঞেরকথায়, ‘‘মাটিতে নামার শেষ মুহূর্তে নেট সংযোগ চলে আসে। নিয়ম ভেঙে মোবাইল অন করে সেইনেট সংযোগের সুবিধা নিয়ে সম্ভবত ওই যাত্রী ফেসবুক লাইভ করে থাকবেন।’’
পাইলটের সঙ্গে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের নিয়মিত রেডিয়ো যোগাযোগ যাতে ব্যাহত না হয়, তার জন্যই উড়ানে নেট নিয়ে এত কড়াকড়ি। যে উড়ানে নেট সংযোগ পাওয়া যায়, তার কম্পাঙ্ক একেবারেই আলাদা। তা কোনও ভাবেপাইলটের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ব্যাহত করতে পারে না। বিশেষজ্ঞের কথায়, ‘‘নামার শেষ মুহূর্তে নেট ব্যবহার করলেও তা পাইলট ও এটিসি-র যোগাযোগ ব্যাহত করতে পারবে না। তাই, লুকিয়ে কোনও যাত্রী তা ব্যবহার করলেও ধরা মুশকিল।’’ তবে, কেউ ধরা পড়লে আইনত তাঁর জরিমানা বা সাজাও হতে পারে বলেও জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।