‘বাইলেঙ্কি সাইকেল ওয়র্কস’-এর সাইকেল ছবি সংগৃহীত।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাইসাইকেল প্রীতি সর্বজনবিদিত। মাঝে মাঝেই লন্ডনের রাস্তায় তাঁকে সাইকেল চালাতে দেখা যায়। সাইকেল চালাতে ভালবাসেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। দুই সাইকেল-প্রেমী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে যখন প্রথমবার তাঁরা মুখোমুখি হলেন, তখন অনুপস্থিত থাকল না এই দ্বিচক্র যানটি। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে হাতে তৈরি একটি সাইকেল উপহার দিয়েছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট।
জি-৭ বৈঠকে যোগ দিতে সস্ত্রীক ব্রিটেনে গিয়েছেন বাইডেন। গত শুক্রবার জনসনের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। তখনই তিনি সাইকেলটি উপহার দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে। আমেরিকার ফিলাডেলফিয়ার ‘বাইলেঙ্কি সাইকেল ওয়র্কস’ এই সাইকেলটি তৈরি করেছে। গত ২৩ মে আমেরিকার বিদেশ দফতর ওই সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ওই বিশেষ সাইকেলটি নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছিল। এই ধরনের একটি সাইকেল হাতে তৈরি করতে সাধারণত ১৮ মাস সময় লাগে। কিন্তু প্রেসিডেন্টের অর্ডার বলে কথা! এক পক্ষকালের মধ্যেই বরিসকে উপহার দেওয়ার জন্য সাইকেলটি তৈরি করে ফেলেছিল ওই সংস্থা। মাত্র চার জন কর্মী মিলে সাইকেলটি তৈরি করেন। সংস্থার কর্ণধার স্টিফেন বাইলেঙ্কি জানিয়েছেন, নীল, সাদা ও লাল রঙের আধুনিক মানের সাইকেলটি তৈরি করতে দেড় হাজার ডলার খরচ হয়েছে। এর সঙ্গে বরিসকে দেওয়া হয়েছে একটি নীল রঙের হেলমেটও। স্টিফেনের আশা, তাঁদের তৈরি সাইকেল ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেওয়ায় সংস্থার প্রচার ও জনপ্রিয়তা বাড়বে।
বাইডেনকে একটি সাদা-কালো মুরাল উপহার দিয়েছেন বরিস। আমেরিকায় ক্রীতদাস প্রথা অবসানের দাবিতে আন্দোলনের ‘মুখ’ ফ্রেডরিক ডগলাসের প্রতিমূর্তি সেই মুরালে। বরিসের স্ত্রী ক্যারিকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট দম্পতি সে দেশের সেনাদের স্ত্রীদের তৈরি একটি চামড়ার ব্যাগ ও সিল্কের স্কার্ফ উপহার দিয়েছেন।
আজ কর্নওয়ালে একটি গির্জায় যান বাইডেন-দম্পতি। তাঁদের এই সফর সম্পর্কে একেবারেই অবগত ছিলেন না স্থানীয় বাসিন্দারা। যেমন অ্যানি ফিৎজ়প্যাট্রিক। তিনি বলেন, ‘‘আজ গির্জায় ঢোকার আগে আমাকে বেশ কিছু প্রশ্ন করা হচ্ছিল। একটু অবাকই হয়েছিলাম। কিছু ক্ষণ বাদে জো বাইডেন ও তাঁর স্ত্রী এলেন। ভাবতেই পারিনি! নির্দিষ্ট জায়গায় বসে প্রার্থনায় অংশ নেন। পরে আমাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, আপনারা শান্তিতে থাকুন।’’