n মহাকাশচারী: মহাকাশ থেকে ফিরে সাংবাদিক সম্মেলনে খোশমেজাজে জেফ বেজোস। মঙ্গলবার। রয়টার্স
কলোনি গড়ে মহাকাশকে লক্ষ লক্ষ মানুষের বাসযোগ্য করে তোলার যে স্বপ্ন তিনি দু’দশক আগে দেখেছিলেন, আজ সেই পরীক্ষার প্রথম ধাপে সফল হলেন পৃথিবীর সব থেকে ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস। মঙ্গলবার নিজের সংস্থার তৈরি মহাকাশযানে চেপে পৌঁছে গেলেন পৃথিবী ও মহাকাশের সীমান্ত-রেখায়। সেই কারম্যান লাইনে কাটালেন প্রায় ১০ মিনিট ২০ সেকেন্ড। তার পর নিরাপদেই ফিরে এলেন পৃথিবীর মাটিতে।
মহাকাশ পর্যটনের বাজার দখল করতে মাত্র ৯ দিন আগে মহাশূন্যে পাড়ি জমিয়েছিলেন ব্রিটিশ ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন। নিজের সংস্থা ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’-এর তৈরি মহাকাশযানে চেপে মাটি থেকে ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তিনি। প্রতিযোগিতায় তাঁকে ছাড়িয়ে গিয়ে আজ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতা ছুঁয়ে ফিরলেন অ্যামাজন প্রতিষ্ঠাতা বেজোস।
মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ টেক্সাসের মরুপ্রায় এলাকার ‘লঞ্চ সাইট ১’ থেকে ছাড়ল বেজোসের মহাকাশযান। নিজের সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর তৈরি সেই যানের নাম ‘নিউ শেপার্ড’। আকাশ তখন ঝলমল করছে সকালের আলোয়। মেঘের লেশমাত্র নেই। তার খানিক আগেই নীল রঙের স্পেস স্যুট আর কাউবয় টুপি পরে লঞ্চ সাইটে পৌঁছে গিয়েছিলেন ৫৭ বছরের বেজোস। ভাই মার্ক-সহ তিন সহযাত্রীর সঙ্গে একে একে গিয়ে ঢুকলেন নীল রঙা পালকের ছবি আঁকা সাদা রকেটের মধ্যে। বন্ধ হল দরজা। রুদ্ধশ্বাস মুহূর্ত কাটিয়ে মহাশূন্যের দিকে ছুটে গেল সেই পক্ষীরাজ। নিজেদের ওয়েবসাইটে রকেট ছাড়ার সেই ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে বেজোসের সংস্থা। আজ বেজোসের সফরসঙ্গী হয়ে প্রবীণতম মহাকাশচারী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন আমেরিকার ৮২ বছরের প্রাক্তন মহিলা বিমানচালক ওয়ালি ফাঙ্ক। সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশযাত্রী হিসেবে রেকর্ড গড়লেন আর এক সহযাত্রী অলিভার ডিমেন নামে ১৮ বছরের এক ডাচ কিশোর।