জেফ বেজোস ফাইল চিত্র
আগামী মঙ্গলবারের মধ্যেই মহাকাশযাত্রীর তালিকায় নিজের নাম তুলে ফেলবেন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
জেফ বেজোস। মঙ্গলবার নিজের
সংস্থা ‘ব্লু অরিজিন’-এর তৈরি মহাকাশযান ‘নিউ শেপার্ড’-এ চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেবেন তিনি।
মহাকাশ পর্যটনের হিড়িকে এটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা।
কয়েক দিন আগেই আর এক ধনকুবের রিচার্ড ব্র্যানসন তাঁর সংস্থা ‘ভার্জিন গ্যালাকটিক’-এর তৈরি মহাকাশ বিমানে চেপে অল্প সময়ের জন্য পাড়ি দিয়েছিলেন মহাকাশে। তবে বেজোসের অভিযানের পাল্লা ব্র্যানসনের থেকে বেশি বলেই দাবি তাঁর সংস্থার। ভার্জিনের যান গিয়েছিল ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার উচ্চতায়। আর ‘নিউ শেপার্ড’ ১০০ কিলোমিটার উচ্চতায় মহাকাশ ও পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের মধ্যবর্তী কারম্যান লাইনে কিছু ক্ষণ অবস্থান করবে। উল্লেখ্য, বেজোসের রকেট তৈরির নেপথ্যে থাকা ইঞ্জিনিয়ারদের মধ্যে রয়েছেন জন্মসূত্রে ভারতীয় সঞ্জল গওয়ান্দে।
২০ জুলাই স্থানীয় সময় সকাল আটটার সময়ে পশ্চিম টেক্সাসের মরুভূমির ‘লঞ্চ সাইট ১’ থেকে চার জন যাত্রী-সহ উৎক্ষেপিত হবে ‘নিউ শেপার্ড’। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সংস্থার ওয়েবসাইটে পুরো অভিযান সম্প্রচার হবে। এখনও অবধি কোনও যাত্রী ছাড়া অন্তত ১৫টি উৎক্ষেপণে সফল হয়েছে স্বয়ংক্রিয় ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য এই যান। বেজোসের সহযাত্রী হবেন ৮২ বছর বয়সি মহিলা বিমানচালক ওয়ালি ফাঙ্ক। সব ঠিক থাকলে তিনিই হবেন প্রবীণতম মহাকাশচারী। আবার, অলিভার ডিমেন নামের এক ডাচ কিশোর হবে সর্বকনিষ্ঠ মহাকাশযাত্রী।
বেজোস মহাকাশ ভ্রমণের সফরসঙ্গীর জন্য একটি আসনের টিকিট নিলাম করেছিলেন। সেই নিলামে দ্বিতীয় স্থানে ছিল অলিভার। প্রথম যিনি হয়েছিলেন, সময়সূচির জটিলতায় তিনি যেতে পারবেন না জানানোয় অলিভার সুযোগ পায়। জেফের ভাই মার্কও সঙ্গী হবেন এই যাত্রায়।
মহাকাশে মানুষের থাকার জন্য ‘স্পেস কলোনি’ বানাবেন, এই উদ্দেশ্যেই ২০০০ সালে ‘ব্লু অরিজিন’ সংস্থার সূচনা করেন বেজোস। মহাকাশ পর্যটনসহ বহু পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। আপাতত প্রচুর ওজন সমেত মহাকাশে যেতে পারে, ‘নিউ গ্লেন’ নামে এমন এক রকেট বানানো হচ্ছে সংস্থাটিতে। এ ছাড়া, নাসার আর্টেমিস প্রকল্পে কাজে আসতে পারে, এ রকম একটি ‘মুন ল্যান্ডার’ বানানোর কাজেও হাত দিয়েছে সংস্থাটি।