প্রতীকী ছবি।
ছাত্রদের দিয়ে সিন্থেটিক ড্রাগ এমডিএমএ বানানোর অভিযোগ উঠল জাপানের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে নস্যাত্ করে দিয়ে অধ্যাপক পাল্টা দাবি করেন, শিক্ষামূলক কাজের জন্যই ওই মাদক বানানো হচ্ছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়েই ওই অধ্যাপকের গবেষণাগারে হানা দেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেখানে এমডিএমএ-র কোনও চিহ্ন না পাওয়া গেলেও অন্য মাদক মিলেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। তাঁরা জানিয়েছেন, অধ্যাপকের নাম তাতসুনোরি ইয়ামুরা। মাত্সুয়ামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্স-এর অধ্যাপক তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ২০১৩ থেকে ছাত্রদের দিয়ে এমডিএমএ তৈরি করাচ্ছিলেন ইয়ামুরা। ১১ জন প্রাক্তন ছাত্রদের এই কাজে লাগানো হয়েছিল বলেও বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। জাপানের আইন বলছে, শিক্ষামূলক কাজের জন্য যদি কোনও নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করা হয়, তা হলে স্থানীয় প্রশাসনের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে। তদন্তকারীরা বলছেন, ইয়ামুরা এ ব্যাপারে কোনও অনুমতিই নেননি। যদি প্রমাণিত হয় যে ইয়ামুরা শিক্ষামূলক নয়, অন্য উদ্দেশ্যে এই নিষিদ্ধ মাদক তৈরি করছিলেন, তা হলে তাঁর ১০ বছরের জেল হতে পারে বলে জানান এক তদন্তকারী আধিকারিক।
আরও পড়ুন: নোটবন্দির পর চাকরি খুইয়েছেন ৫০ লাখ পুরুষ! নয়া সমীক্ষায় আরও অস্বস্তিতে মোদী সরকার
এমডিএমএ হল স্নায়বিক উত্তেজকবর্ধক মাদক। বিভিন্ন রেভ পার্টিতে এর চাহিদা প্রচুর। প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বিদ্যালয়ের এক জন অধ্যাপক ছাত্রদের দিয়ে মাদক বানাচ্ছেন আর সেটা কোনও ভাবেই আঁচ পাওয়া গেল না? তবে বিষয়টি সামনে আসার পর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট তাতসুয়া মিজোগামি বলেন, “এমন একটা ঘটনার জন্য পড়ুয়া এবং তাঁদের অভিভাবকদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।” পাশাপাশি তিনি আরও জানান, ভবিষ্যতে এমন ধরনের ঘটনা রুখতে কড়া পদক্ষেপ করবে বিশ্ববিদ্যালয়। মিজোগামি আরও যোগ করেন, “তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে ইয়ামুরা ও তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।”