প্রতীকি চিত্র
জাপান ও প্রযুক্তি প্রায় সমার্থক। এ বার সেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই জাপানে কর্মীদের অতিরক্ত সময় কাজ করবার প্রবণতা আটকানোর চেষ্টা শুরু হল। এর পর থেকে হয়তো দেখা যাবে জাপানের অফিস গুলোতে টহল দিচ্ছে ড্রোন। তবে কর্মীদের কাজের তদারকি করবার জন্য নয়। বরং দেখভাল করবার জন্য যে কখন তাঁরা কাজ শেষ করে বাড়ির পথ ধরবেন!
জাপানিদের দীর্ঘকালের অভ্যেস দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করবার। যদিও তা ‘ওভারটাইম’-এর আওতায় পড়ে না। তাই এর জন্য তাঁরা পান না অতিরিক্ত অর্থও। সুতরাং এ বার যাতে সঠিক সময়েই কাজ শেষ করে বাড়ির পথ ধরেন কর্মীরা, তা নিশ্চিত করবার জন্যই এই ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থা। এর মাধ্যমে জানা যাবে কে অত্যধিক সময় ধরে অফিসে আছেন। এমনকি, অতিরিক্ত সময় কাজ করা থেকে জাপানিদের আটকাতে আনা হয়েছে নতুন বিলও। এই বিলে বলা হয়েছে যে সারা মাসে ১০০ ঘন্টার বেশি কাজ করা যাবে না।
সাম্প্রতিক কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে যে, জাপানের কর্মীরা অতিরিক্ত কাজের চাপ নিয়ে নিজেদের মৃত্যু প্রবণতাও বাড়িয়ে তুলছেন। এ বার সেই প্রবণতা আটকানোর জন্যই নিত্য-নতুন পন্থা নিচ্ছে সংস্থাগুলো। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে প্রযুক্তিরও। একটি বিশেষ চশমা আনা হয়েছে, যা নজর রাখবে চোখের স্বাস্থ্যের দিকে। একটানা অনেকক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে কাজ করবার ফাঁকে চোখের পাতা ফেলবার কথা বা চোখকে বিশ্রাম দেওয়ার কথাও মনে করিয়ে দেবে একটি বিশেষ অ্যাপও। দশকের পর দশক ধরে চলে আসা এই কর্মসংস্কৃতি এ বার প্রযুক্তির সাহায্যেই পরিবর্তন করতে মরিয়া জাপান।