যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। — ফাইল চিত্র।
গত বছর অক্টোবরের গোড়া থেকে ইজ়রায়েলের সঙ্গে হামাস বাহিনী যুদ্ধ শুরুর সময় থেকে এ পর্যন্ত ৩৭ হাজারেরও বেশি প্যালেস্টাইনি নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। যার একটা বড় অংশ শিশু ও মহিলা।
ইজ়রায়েলেরই একটি পত্রিকা এবং একটি খবরের ওয়েবসাইট এ বার তাদের তদন্তমূলক একটি প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এ ভাবে নির্বিচারে সাধারণ প্যালেস্টাইনি নাগরিকদের হত্যার পিছনে রয়েছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এআই) সংক্রান্ত এক কর্মসূচি। ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী যার নাম রেখেছিল ‘ল্যাভেন্ডার’। হামাস-বিরোধী অভিযানে সরাসরি যুক্ত ছিলেন, এমন ছয় ইজ়রায়েলি সেনাকে উদ্ধৃত করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ল্যাভেন্ডার’-এর কাজই ছিল সন্দেহভাজন হামাস জঙ্গি ও তাদের নাম ও ঠিকানা খুঁজে বার করে তালিকা তৈরি করা। আর সেটা করতে গিয়েই মহিলা ও শিশু-সহ অজস্র সাধারণ, নিরীহ প্যালেস্টাইনিকে সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে ফেলত ওই যন্ত্র।
ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যুদ্ধের একেবারে গোড়ার দিকে প্রথম কয়েক সপ্তাহে গাজ়া ভূখণ্ডে হামাস-বিরোধী অভিযানে এই যন্ত্রের বানানো তালিকার ভরসাতেই অভিযান চালাত ইজ়রায়েলি সেনা। রিপোর্টটিতে এ কথাও বলা হয়েছে, ইজ়রায়েলি সেনা অফিসারদের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে তৈরি ওই তালিকার উপরে এমন ভাবে ভরসা করতে বলা হত, ‘যেন কোনও মানুষ এই সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে’। ফলে আসল গোয়েন্দা রিপোর্টের পরোয়া না করেই যন্ত্রের তৈরি সিদ্ধান্তেই একের পর এক হামলা চলত প্যালেস্টাইনিদের উপরে। কারও বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য ইজ়রায়েলি সেনা মাত্র ২০ সেকেন্ড সময় নিত। ওই সময়ের মধ্যেই তারা বোঝার চেষ্টা করতে যে যাকে নিশানা করা হচ্ছে, সে এক জন পুরুষ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে যন্ত্রের ভুল হওয়ার সম্ভাবনা ছিল পুরো মাত্রায়। আর সে জন্যই শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কোনও জঙ্গি নয়, কখনও কখনও বোমা ফেলে নিকেশ করে দেওয়া হত তার পুরো পরিবারকেই।