প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। মঙ্গলবার ইজরায়েলে। ছবি: এএফপি।
সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ইজরায়েলের সমর্থন আদায় করে নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাক ভূখণ্ড থেকে উদ্ভূত ও দেশের মধ্যে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে নয়াদিল্লিকে পুরোদস্তুর সমর্থন করার কথাও জানাল জেরুজালেম। পাশাপাশি, ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের সঙ্গে যৌথ ভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই চালানোর ডাক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীও। মঙ্গলবারই তিন দিনের সফরে ইজরায়েল পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ২৫ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর।
ভারত-ইজরায়েল, দু’দেশেরই প্রধান সমস্যা সন্ত্রাসবাদ। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে প্রধান ইস্যু হতে চলেছে জঙ্গি কার্যকলাপ মোকাবিলা। এ দিন ইজরায়েলে পৌঁছেই মোদী বলেন, ‘‘ভারত-ইজরায়েল দু’দেশের প্রধান সমস্যা সন্ত্রাসবাদ। দেশের বাইরে উদ্ভূত সন্ত্রাসবাদের শিকার হতে হচ্ছে ভারত ও ইজরায়েল উভয় দেশকেই। এ ধরনের শক্তিগুলির বিরুদ্ধে দু’টি দেশ একই ধরনের লড়াই চালাচ্ছে।’’ সফরে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
এ দিন ভারত-ইজরায়েলের সম্পর্ককে ‘স্পেশাল’ বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি ভীষণ ভাবে এই সফরের দিকে তাকিয়ে রয়েছি। আশা করি এই সফরের ফলে দু’দেশের সরকার ও নাগরিকরা একে অপরের আরও কাছাকাছি আসবে।’’ সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে সাইবার-নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক যোগাযোগ বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হবে। ইজরায়েলে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার কথা তাঁর। এ ছাড়া, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সেনাদের স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানানো, সেখানকার ঐতিহাসিক হলোকাস্ট মিউজিয়ামেও যাবেন প্রধানমন্ত্রী। বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ও মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত একাধিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা। জলসম্পদ ও কৃষি, বিমান যোগাযোগ ও বিনিয়োগ নিয়েও একাধিক মউ স্বাক্ষরিত হবে এই সফরে।
আরও পড়ুন: জি-২০ সম্মেলনের আগেই জাপানের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়ার
দিন কয়েক আগেই নরেন্দ্র মোদীকে ‘পরম মিত্র’ বলে উল্লেখ করেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রধানমন্ত্রীর ঐতিহাসিক সফরে দু’দেশের সম্পর্কের প্রভূত উন্নতি হবে। ইজরায়েলি রাষ্ট্রপতি রয়েভেন রিভলিন এবং বিরোধী দলনেতা আইজ্যাক হারজগের সঙ্গেও দেখা করার কথা প্রধানমন্ত্রীর। কূটনৈতিক মহলের মতে, গত কয়েক দশকে আর কোনও বিদেশি রাষ্ট্রনেতাকে এতটা গুরুত্ব দেয়নি ইজরায়েল।