Israel-Hamas Conflict

শর্ত ভাঙার নালিশ, থমকে যুদ্ধবিরতি

গাজ়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হেনেছে ইজ়রায়েল। তার জেরে অন্তত ৭৭ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন শিশু ও ২৫ জন মহিলা।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৩১
Share:

ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। —ফাইল চিত্র।

ইজ়রায়েল এবং হামাস দু’পক্ষই যুদ্ধ বিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে গতকাল জানিয়েছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা। আজ ইজ়রায়েলের নিরাপত্তা পরিষদ ও মন্ত্রিসভার বৈঠকে সেই চুক্তি অনুমোদন করার কথা ছিল। কিন্তু দিন গড়াতে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানালেন, ওই বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তার কারণ, চুক্তিতে যে সমস্ত শর্ত রাখা হয়েছিল, হামাস শেষ মুহূর্তে সেগুলির পুরোপুরি মান্যতা দিচ্ছে না। চুক্তির বাইরে তারা অতিরিক্ত সুবিধা আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে।

Advertisement

যদিও আজ হামাসের দুই প্রতিনিধি ইজ়রায়েলের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমে হামাস কর্তা সামি আবু জ়ুহরি বলেছেন, ‘‘হামাস সংঘর্ষ বিরতির চুক্তিকে মান্যতা দিচ্ছে না বলে নেতানিয়াহু যে দাবি করেছেন, তা ভিত্তিহীন।’’

চুক্তি অনুযায়ী, এই রবিবার প্রথম দফায় ৩০ জন ইজ়রায়েলি পণবন্দিকে মুক্তি দেবে হামাস। তার জন্য প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নেতানিয়াহুর প্রশাসন। ফেরত পাওয়া পণবন্দিদের চিকিৎসার জন্য ৬টি হাসপাতালকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মুক্তির পরে তাঁদের অন্তত ৪ দিন হাসপাতালে রাখা হবে। বন্দিরা কোনও সংক্রামক যৌনরোগে আক্রান্ত কি না, মহিলা বন্দিরা সন্তানসম্ভবা কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হবে। পাশাপাশি, দীর্ঘ অনাহারে থাকা বন্দিদের বিশেষ নজরে রেখে তাঁদের খাবার চালু করা হবে।

Advertisement

এই টানাপড়েনের মধ্যে যুদ্ধ কিন্তু থামেনি। আজও গাজ়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হেনেছে ইজ়রায়েল। তার জেরে অন্তত ৭৭ জন প্যালেস্টাইনি নিহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তার মধ্যে ২১ জন শিশু ও ২৫ জন মহিলা।

যুদ্ধবিরতি নিয়ে আজ মুখ খুলেছে ভারত সরকার। বিদেশ মন্ত্রক বিবৃতিতে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছে। বরাবরের মতো আজও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে আলোচনা ও কূটনীতির মাধ্যমে বিরোধ মেটানোর উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, 'আশা করি এই যুদ্ধবিরতিতে গাজ়ার মানুষ বিপন্মুক্ত হবে এবং দীর্ঘমেয়াদি মানবিক সহায়তা পাবে। আমরা ধারাবাহিক ভাবে সমস্ত বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধবিরতি এবং সংলাপ ও কূটনীতির পথে ফিরে আসার জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’

২০২৩ সালে ৭ অক্টোবর ইজ়রায়েলের মাটিতে হামাসের হামলার পরে ভারত প্রাথমিক ভাবে ইজ়রায়েলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে নিজেদের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতেই অটল ছিল। অবশ্য পরবর্তীতে আরবদের উদ্বেগের কারণে এই বিষয়ে মধ্যপন্থা তথা ভারসাম্যের অবস্থান নেয় দিল্লি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement