লেবাননে ইজ়রায়েলি হামলা। ছবি: সংগৃহীত।
ইজ়রায়েলি হামলায় এক দিনে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হল লেবাননে। সে দেশের সংবাদমাধ্যমগুলির দাবি অনুযায়ী, সোমবারের হামলায় প্রায় ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে পাল্টা হামলা চালাচ্ছে লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠীও। তাদের দাবি, ইজ়রায়েলের সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে ২০০টি রকেট হামলা চালানো হয়েছে। তবে এই হমলায় কোনও হতাহতের কোনও ঘটনা ঘটেছে কি না, তা স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়াও দেয়নি ইজ়রায়েল।
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, মহিলা এবং শিশু-সহ ৪৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১,৬৪৫। হিজবুল্লা গোষ্ঠীর দাবি, উত্তর ইজ়রায়েল লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। সারা রাত ধরে সেই হামলা চালানো হয়েছে হাইফা, আফুলা এবং নাজ়ারেথের মতো জায়গাগুলিতে। তবে ইজ়রায়েলের পাল্টা দাবি, হিজবুল্লার ছোড়া রকেটগুলির বেশির ভাগই আকাশে ধ্বংস করে দিয়েছে তাদের ‘আয়রন ডোম’।
তবে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, হিজবুল্লা যদি এখনও হামলা না থামায়, তা হলে আগামী দিনে আরও শক্তি প্রয়োগ করে তাদের উপর হামলা চালানো হবে। ইজ়রায়েলি বাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি জানিয়েছেন, লেবাননে হিজবুল্লার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে পরবর্তী পদক্ষেপ যে আরও ভয়ঙ্কর হতে চলেছে, তার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তিনি।
সোমবারই লেবাননের রাজধানী বেইরুটের বাসিন্দাদের ইজ়রায়েলি বাহিনী সতর্ক করেছিল যে, তাঁরা যেন যত দ্রুত সম্ভব শহর ছেড়ে অন্যত্র নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেন। শুধু তাই-ই নয়, হিজবুল্লার সঙ্গে তাঁরা যেন দূরত্ব বজায় রাখেন। এই বার্তা পাওয়ার পরই বেইরুট থেকে বাসিন্দারা অন্যত্র পালাতে শুরু করেন। সেই সতর্কবার্তা দেওয়ার পরই একের পর এক বোমা হামলা শুরু করে ইজ়রায়েল।
গত ১১ মাস ধরে হিজবুল্লা গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে ইজ়রায়েলের। সে দেশে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্টাইনের জঙ্গি গোষ্ঠী হামাস। তাদের সমর্থন জানায় হিজবুল্লাও। তার পর থেকেই শুরু হয় সংঘর্ষ। ফল ভুগছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েক মাস ধরে এই সংঘর্ষ চলাকালীন একে অপরকে লাগাতার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে লেবানন এবং ইজ়রায়েল। হিজবুল্লার হুঁশিয়ারি, যে ভাবে ইজ়রায়েল তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে, তার পরিণতি ভুগতে হবে। ইজ়রায়েলের দাবি, হিজবুল্লাকে তারা নির্মূল করবেই।